২৬০ বছর পুরনো দুর্লভ হীরাটি নিলামে উঠছে

৫৫৫ দশমিক ৫৫ ক্যারেটের কালো রঙের দুর্লভ হীরাটিকে নিলামে তুলতে যাচ্ছে মূল্যবান সামগ্রীর নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সথবি'স।
হীরাটির নাম দেওয়া হয়েছে 'দ্য এনিগমা'। ধারণা করা হয়, হীরাটি মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে এসেছে; উল্কাপাতজনিত কোনো প্রভাবের দরুণ বা কোনো গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষের কারণে হীরাটি পৃথিবীতে এসে পড়েছে।
সথবি'স কর্তৃপক্ষ এমন বৃহদাকারের প্রাকৃতিক হীরা প্রাপ্তির ঘটনাকে 'অতিশয় দুর্লভ ঘটনা' বলে উল্লেখ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাই ও লস অ্যাঞ্জেলসে প্রদর্শিত হওয়ার পরে লন্ডনে নিলামে তোলার সময় হীরাটির মূল্য ৫ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি উঠবে বলে আশা করেছিল তারা।
কালো হীরাকে কার্বনাডো হীরাও বলা হয়। মোটামুটি ২৬০ কোটি থেকে ৩৮০ কোটি বছর আগে এগুলোর অস্তিত্ব ছিল বলে গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে। এ হীরাগুলোর ভেতর যে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের সন্ধান পাওয়া যায় তা পৃথিবীর বাইরে নক্ষত্রমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে 'অসবোর্নাইট' নামক একপ্রকার খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে যেটি সচরাচর উল্কাপিণ্ডের ভেতর পাওয়া যায়।
সথবি'সের অলংকার বিশেষজ্ঞ নিকিতা বিনানির কাছে হীরাটি 'এক খাঁটি প্রাকৃতিক বিস্ময়'।
এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'হীরাটি শত কোটি বছরের পুরোনো মহাজাগতিক বিস্ময়ের একটি। আগ্রহীদের জন্য একে নিজের সংগ্রহে যোগ করার একমাত্র সুযোগ এর নিলামকরণ।"
হীরাটির আকার মধ্যপ্রাচ্যে হাতের তালুর জন্য প্রচলিত 'হামসা' চিহ্ন দ্বারা অনুপ্রাণিত। হামসা সুরক্ষার স্মারক, আরবিতে এর অর্থ পাঁচ। নিলামদাতাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পুরো হীরায় পাঁচের ধারণা প্রয়োগ করা হয়েছে। ৫৫৫ দশমিক ৫৫ ক্যারেটের হীরাটিতে ঠিক ৫৫টি ধার বা মুখ আছে।
সথবি'স সিএনএনকে জানিয়েছে, এর আগে বহু ধার বা কিনারাওয়ালা হীরা ক্যারেটপ্রতি ১০ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছে।
এবারের কালো হীরাটি ফেব্রুয়ারির ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন নিলামের জন্য রাখা হবে। তবে নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পেমেন্ট হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করবে।
সথবি'সের ইতিহাসে এযাবতকালে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে মূল্যবান হীরাটির নাম 'দ্য কি ১০১৩৮'। ১০১ ক্যারেটের হীরাটি গতবছর নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল।
হালের অনেক নিলামকারী প্রতিষ্ঠানই তাদের মূল্যবান আইটেমগুলোর পেমেন্ট ক্রিপ্টোকারেন্সিতে নেওয়া শুরু করেছে।
- সূত্র- সিএনএন