করোনার প্রাদুর্ভাবে অভিনব উপায়ে লটারির পুরস্কার গ্রহণ

কানাডার কুইবেকের লটারির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি রোবটের কাছ থেকে ৬ মিলিয়ন ডলারের চেক গ্রহণ করেন বিজয়ী গাইলিন দেসজারডিনস। লরেনটিডসের এই নারী ২৫ বছর ধরে একই নাম্বার নিয়ে খেলার পর অবশেষে গত ১ জুলাই তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়।
লোটো কুইবেক প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত এক বিবৃতি হতে জানা যায়, ৬ মিলিয়ন ডলারের টিকিট জিতেছেন বুঝতেই দেসজারডিনের বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই সংবাদ পাওয়ার পর প্রথমেই তিনি নিজের চশমা খোঁজা শুরু করেন।
১৯৮২ সালে শুরু হওয়া কানাডা জুড়ে প্রচলিত এই লটারি গেমের প্রতিটি টিকিটের মূল্যমান ৩ ডলার। এভাবে জ্যাকপট জেতার সম্ভাবনা ১৪ মিলিয়নে ১ বার বলে জানায় সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মের কারণে দেসজারডিন পূর্বের অন্যান্য বিজয়ীর মতো পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। এ কারণেই লোটো কুইবেক সংস্পর্শবিহীন নিরাপদ উপায়ে পুরস্কার তুলে দিতে এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে।
জনস্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতেই অনুষ্ঠানটি গত ২৩ জুলাই ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এছাড়াও সারা নামের রোবটটি ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকিরা মাস্ক পরে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখেন।
ইউনিভার্সিটি অব কুইবেকের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ক'জন শিক্ষার্থী সেনটেক নামের একটি প্রযুক্তি সংস্থার সহায়তায় সারা রোবটটি তৈরি করেন। 'ওয়াকিং ম্যাশিন ক্লাবে'র শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে রোবটটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ক্লাবটির ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়, 'কোয়ারেন্টিনের শুরু থেকে একা থাকা রোবটটির জন্য এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।'
ভাগ্যবান এই বিজয়ী পরিকল্পনা করছেন, অর্জিত এই অর্থ দিয়ে মোটর সাইকেল কিনবেন এবং মহামারির নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল হলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবেন।
লোটো কুইবেক জানায়, বিজয়ীর কর্মস্থল ও যেখান থেকে টিকিট ক্রয় করেছিলেন, দেপান্যুর ল্যাসেল নামের দোকানটি কমিশন হিসেবে মোট অর্থের ১% অর্থাৎ ৬০ হাজার ডলার পাবে।
- সূত্র: সিএনএন