বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ হাজার ৫৪ কোটি টাকার বেশি)। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪০ বছর বয়সী রোনালদোর আর্থিক উত্থানের পেছনে রয়েছে সৌদি ক্লাব আল-নাসরের সঙ্গে জুনে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি। এই চুক্তির মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, ২০০২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোনালদো কেবল বেতন হিসেবেই ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন। নাইকির সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন তিনি। এছাড়া আর্মানি, ক্যাস্ট্রলসহ শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি থেকে ১৭৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন পর্তুগালের এই স্ট্রাইকার।
২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেন রোনালদো। এর মধ্যে দিয়ে ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হন তিনি। তার বার্ষিক আয় ১৭৭ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ২৩৭.৫২ মিলিয়ন ডলার), সঙ্গে রয়েছে বোনাস এবং ক্লাবটির ১৫ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির তারকা লিওনেল মেসির করপূর্ব বেতন খাতে আয় ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
রোনালদোর বিলিয়নিয়ার মর্যাদা তাকে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান, ম্যাজিক জনসন, লেব্রন জেমস, গলফার টাইগার উডস এবং টেনিস খেলোয়াড় রজার ফেদেরারের মতো ক্রীড়াবিদদের দলে জায়গা করে দিয়েছে।
পর্তুগিত এই তারকা জানিয়েছেন, তিনি এখনই অবসরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।
তিনি বলেন, 'আমি এখনো ফুটবলের প্রতি একই রকম ভালোবাসা অনুভব করি। আমার পরিবার বলে, এখন অবসর নেওয়ার সময় এসেছে। তারা জিজ্ঞেস করে, 'তুমি ইতিমধ্যে ৯০০-এর বেশি গোল করেছ, ১০০০ করতে চাও কেন?' কিন্তু আমি সেভাবে ভাবি না। আমি এখনও ভালো পারফর্ম করছি, ক্লাব ও জাতীয় দল—দুটোকেই সাহায্য করছি। তাহলে কেন থামব? আমি জানি, খেলার বছর বেশি বাকি নেই, কিন্তু যতদিন আছি, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।'
