বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর রিট

সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাস।
রিটে তিনি তার পরীক্ষায় শ্রুতি লেখক দিতে নির্দেশনা চেয়েছেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুদীপ দাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
আগামী শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিচারক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সুদীপ দাসকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ওই প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়, “অন্ধ হলে বিচারক হওয়াও যেন বন্ধ।”
রিট আবেদনে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করেছেন সুদীপ।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিচারক নিয়োগ বিধিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকাউকে শ্রুতি লেখক দেয়ার নিয়ম নেই। ফলে পরপর দুই বছর পরীক্ষায় বসলেও খালি খাতা ফেরত দেন হতভাগ্য সুদীপ।
রিট আবেদনে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিচারক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সুদীপ দাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন।
গত দু'বছর প্রবেশপত্র পেয়েও দিতে পারেননি এই পরীক্ষা। দেড় ঘন্টা হলে বসে থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় শ্রুতি লেখক না পাওয়ায়। পরীক্ষার আগে বারবার যোগাযোগ করছিলেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাথে। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে মেলেনি কোনো সহযোগিতা।
ভুক্তভোগী সুদীপ দাস বলেন, “আমি শ্রুতি লেখক ছাড়াই পরীক্ষাটা দেই। দেড় ঘন্টা হলে বসে ছিলাম। কিছু লিখতে পারিনি। ওএমআর শিট পূরণ করেছি শিক্ষক ও পাশে থাকা পরীক্ষার্থীদের সহায়তায়। উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা। আমি পরীক্ষাটা দিতে চাই। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি আবেদন করতেছো, তোমাকে তো অনুমোদন দিচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “আমাকে হয়ত অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু আমার হাত ধরে আমার অনুজ যারা আছেন তারা যেন পরবর্তীতে অনুমতি পায়।”