বিএনপি মনোনয়ন দেয়নি; ‘এখনও ভাবিনি, এ ব্যাপারে পরে প্রতিক্রিয়া জানাব’: রুমিন ফারহানা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তবে এ আসনে কাউকেই মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি।
এ আসনে অন্তত অর্ধ ডজন প্রার্থী মনোনয়ন চাইলেও ধারণা করা হচ্ছিল রুমিন ফারহানাই শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন পাবেন। তবে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে আসনটি ফাঁকা রাখায় হতাশ হয়েছেন রুমিন ফারহানার কর্মী-সমর্থকরা।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা সংবাদিকদের জানান, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের জনগণের সঙ্গে ছিলেন, এখনও আছেন। ২০১৭ সাল থেকে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন। ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া দলের বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে তিনি এলাকায় সমাবেশ করেছেন। এ জন্য তিনি অনেক হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানেন। এ ব্যাপারে তিনিই ভালো সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, 'এখানে আমার নাম ঘোষণা না হওয়ায় শত শত সমর্থক কান্নাকাটি করছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে এখনও ভাবিনি। এ ব্যাপারে পরে প্রতিক্রিয়া জানাব।'
গুঞ্জন রয়েছে আসনটি শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেবে বিএনপি। তবে রুমিন ফারহানাকে ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার সমর্থকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন রুমিন ফারহানা। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকেই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসছেন তিনি।
আসনটিতে বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর জানান, এলাকায় রুমিন ফারহানার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। এখানে জোটের শরিক কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার পর রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে জোটের প্রার্থীর জামানত থাকবে না। যদি রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন- তাহলে দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী তার পক্ষে মাঠে কাজ করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুমিন ফারহানার এক সমর্থক বলেন, এখানে রুমিন ফারহানাকে ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আমরা আন্দোলন করব। প্রয়োজন হলে অন্য চিন্তা করব।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ আসন (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) থেকে রুমিন ফাহানার বাবা ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদ নির্বাচন করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের তাহের উদ্দিন ঠাকুর। ওই নির্বাচনে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে ঢাকা থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।
