ঢাকা বিমানবন্দরে আমদানি কার্গোতে অব্যবস্থাপনা: ভিজছে মালামাল, ঠিক সময়ে কনসাইনমেন্ট পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পার হলেও আমদানি কার্গো ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা এবং পর্যাপ্ত শেড [ছাউনি] না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজছে আমদানিকৃত মালামাল। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গত শনিবারের বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে রাখা বিপুল পরিমাণ কনসাইনমেন্ট ভিজছিল।
এদিকে, সঠিক সময়ে কনসাইনমেন্ট না পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন আমদানিকারকদের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা কাস্টম এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ল সেক্রেটারি কাজী আজমল হোসেন বলেন, 'শেড না থাকায় গত শনিবারের বৃষ্টিতে অনেক আমদানিকৃত গুডস [পণ্য] ভিজে গেছে। নতুন শেডের ব্যবস্থা এখনো হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো নতুন প্রয়োজনীয় শেড না হওয়া দুঃখজনক। এতই সক্ষমতার অভাব?'
বৃষ্টির কারণে কি পরিমাণ মালামাল নষ্ট হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান একমাত্র বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষই দিতে পারবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রশিদুল হাসান বলেন, 'দুটি ফ্লাইটের মাধ্যমে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের তিনটি কনসাইনমেন্ট এসেছে গত চার দিন আগে। বহু খোঁজাখুঁজির পর মাত্র একটি পেয়েছি। বাকিগুলো এখনো পাইনি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার মতো অনেকেই এভাবে এখন আমদানিকৃত মালামাল খুঁজছে।'
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, 'কিছু মালামাল ভিজেছে অপর্যাপ্ত শেডের কারণে। আমার খোঁজ নিচ্ছি, আমাদের কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠানের মালামাল এর মধ্যে রয়েছে কিনা।'
