বগুড়ায় এনসিপি নেতা সারজিসের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার পর জেলা পরিষদের সামনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকেল চারটা থেকে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সারজিস আলম।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস আলম বলেন, 'পুরো বাংলাদেশকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে, ষড়যন্ত্র করছে—ফ্যাসিস্টদের ও তাদের দোসরদের আস্ফালন এখন দৃশ্যমান। অডিটোরিয়ামের ভেতরে সাংগঠনিক অনুষ্ঠান চলছিল, অথচ বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে আমরা মনে করি, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা যতটা সক্রিয় থাকার কথা, ততটা এখন নেই। এখনই যদি তারা এতটা আস্ফালন করতে পারে, তাহলে নির্বাচনের আগে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'
এর আগে বিকেল ৩টায় শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠসংলগ্ন স্থানে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এনসিপির বগুড়া জেলা সমন্বয়কারী সদস্য সুলতান মাহমুদ বলেন, 'আমাদের পূর্বনির্ধারিত জেলা সমন্বয় মিটিং ছিল। সেখানে সারজিস আলম, সাকিব মাহদীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। আমরা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে আসার পরেই একটি চারতলা ভবন থেকে দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। সবাই নিরাপদ আছেন।'
এনসিপির বগুড়া জেলা শাখার আরেক সমন্বয়কারী সদস্য শওকত ইমরান অভিযোগ করেন, 'আমাদের নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেনি। ঘটনা ঘটার পরই তারা এসেছে। এটি দায়িত্বে অবহেলারই প্রমাণ। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর ও দালাল দেশে রয়ে গেছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য যারা কাজ করছে, তারাই এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বলে আমরা মনে করি।'
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হুসেইন মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, 'ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।'