ফুটপাতের দোকান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রাবাসটিতে মূলত চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা থাকেন।
এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঢাকা কলেজ ও শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেলা ১১টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহাঙ্গীর আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'শাহনেওয়াজ হলের সামনে কয়েকটি দোকান রয়েছে। ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে দোকানগুলো সরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হকারদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে শাহনেওয়াজ হলের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এলে তাদের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দু-তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন।'
বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি বলেন, 'ককটেল বিস্ফোরণ বলা যাবে না, পটকা ফোটানোর মতো আওয়াজ হয়েছে।'
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, 'আজ ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ কর্মসূচি আছে। এ কর্মসূচি ও গতকালকের ঘটনা—সবমিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা কলেজ ও শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগ ও শাহনেওয়াজ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহরাজ জামান হীরা বলেন, 'রাতে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী হলের ফটকের সামনে থাকা দোকানগুলো উচ্ছেদের চেষ্টা করেব এবং কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আরও লোকজন নিয়ে ফিরে এসে হলের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে ও হলের সামনে তিনটি বিস্ফোরণ ঘটায়।'
রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে এ সংঘর্ষের সূচনা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এম এম আল মিনহাজ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষক, পুলিশ ও ছাত্রপ্রতিনিধিদের চেষ্টায় রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।