Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 12, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 12, 2025
‘বেঁচে থাকার লড়াই করছি’: আম্পানের পর সীমাহীন দুর্ভোগে দিন কাটছে চিংড়ি চাষিদের

বাংলাদেশ

টিবিএস ডেস্ক 
09 February, 2021, 08:25 pm
Last modified: 11 February, 2021, 04:25 pm

Related News

  • ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চিংড়ি রপ্তানি, তবে কাঁচামালের সংকটে হুমকিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি
  • ঝড়ের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যৌন হয়রানির শিকার হন নারীরা: গবেষণা
  • উপকূলীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় মডেল নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা
  • শরণখোলায় এক বছর না যেতেই ভেঙে পড়ছে বেড়িবাঁধ, আতংকে উপকূলবাসী
  • উপকূলজুড়ে রিমালের ক্ষতচিহ্ন: দেড়লাখ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, মৎস্য-কৃষি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি

‘বেঁচে থাকার লড়াই করছি’: আম্পানের পর সীমাহীন দুর্ভোগে দিন কাটছে চিংড়ি চাষিদের

খুলনাসহ পাশের সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় ৩ লাখ চিংড়ি চাষির মধ্যে ৭০ শতাংশই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা
টিবিএস ডেস্ক 
09 February, 2021, 08:25 pm
Last modified: 11 February, 2021, 04:25 pm
নয় মাস পানিতে তলিয়ে থেকে ঘের সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান মজনু সর্দার। ছবি: রফিকুল ইসলাম মন্টু/ দ্য গার্ডিয়ান

মহামারি হানা দেওয়ার আগে গেল বছরের ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশের পশ্চিম উপকূলে ছিল চিংড়ি চাষিদের রমরমা অবস্থা। স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারের চাহিদায় ছিল ভালো আয়েরও সুযোগ।

বাজার অনুকূল থাকায় স্বল্প মূলধন নিয়ে অনেক গ্রামীণ যুবক যোগ দেন চিংড়ি চাষে। তাদেরই একজন খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা মজনু সর্দার। উপকূলের সংগ্রামী জীবিকার বিবেচনায় তখন তিনি যথেষ্টই আয় করতেন। অন্তত, যেটুকু আয় হতো- তা দিয়ে ছয় সদস্যের পরিবারের খাদ্য, বস্ত্র আর শিক্ষার চাহিদাও পূরণ করা যেতো। 

মজনুর সেই সুদিন ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে মাটির তৈরি আর পাতায় ছাওয়া কুঁড়েঘরে থাকেন কপোতাক্ষ নদীর তীরে। গেল বছরের মে'তে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে এখানেই ঘর বেঁধেছেন। আম্পানে তার আগের ঘর ভেসে যায়, তলিয়ে যায় চিংড়ি চাষের জমিও।  

"জমি পানির নিচে ছিল নয় মাস ধরে। পলি জমে তিন-চার ফুট সমান। আমার ঘেরের সব কিছু শেষ। আবার সব ঠিকঠাক করতে হলে অনেক টাকা লাগবে। এদিকে বেঁচে থাকতেই অনেক ধার করে ফেলেছি। দেনার পাহাড় সমান বোঝা আমার ঘাড়ে। কে আমাকে এরপর চিংড়ি চাষের জন্য টাকা দেবে?" প্রশ্ন রাখেন মজনু।  

৩৫ বছরের মজনু এখন পরিবারের মুখে একবেলা খাবার তুলে দিতে রোজ দিন-মজদুরির কাজ খুঁজতে বের হন। 

এ গল্প শুধু মজনুর একার নয়। খুলনাসহ পাশের সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় ৩ লাখ চিংড়ি চাষির মধ্যে ৭০ শতাংশই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। অনেকের নেই নিজের জমি। ইজারার জমিতে চাষ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। রপ্তানি বাজার সচল থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে ছিল না দুর্ভাবনা। কিন্তু, সবকিছু বদলে দেয় কোভিড-১৯। লকডাউনে বন্ধ হয় রপ্তানি বাজার।  

কয়রা উপজেলার কাটমার চর গ্রামে ধবংসের তাণ্ডব চালায় আম্পান। ছবি: রফিকুল ইসলাম মন্টু/ দ্য গার্ডিয়ান

গেল বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিংড়ি রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশ বা ৫৪ মিলিয়ন ডলার বাতিল করা হয়। 

রপ্তানি বন্ধে স্থানীয় বাজারে চিংড়ির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। বিশেষ করে, আম্পান আঘাত হানার কয়েক সপ্তাহ পরই দেখা দেয় নাটকীয় দরপতন। আম্পান ছিল গত এক শতকের মধ্যে পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়। চিংড়ি ঘের, ফসলী জমি, মাছ ধরার নৌকা, বসতবাড়ি সব ধ্বংস হয় জোয়ারের প্রচণ্ড স্রোতে। 

মঞ্জু জানান, "আম্পানের কারণেই এখন সবচেয়ে বড় বিপদ আমাদের। গেল বছর ভাইরাস আর সাইক্লোন আমাকে প্রায় নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে। এখন আমার কাছে চিংড়ি চাষের মূলধন নেই। দেনার বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। অন্য চিংড়ি চাষির ঘেরে দিন-মজদুরি করি। আগামীদিনে কী করব, কী হবে- ভাবতেও ভয় হয়।" 

তিনি এখনও অস্থায়ী আবাসে পরিবার নিয়ে থাকলেও, সর্বস্ব হারানো অনেক চিংড়ি চাষি কাজের সন্ধানে এসেছেন রাজধানী ঢাকায়। 

কয়রা উপজেলার নারী চিংড়ি চাষি ৩৬ বছরের মুসলিমা বেগম। মঞ্জুর মতো তারও ছিল স্থায়ী আয়ের সুযোগ। কিন্তু, এখন তার স্বামী মোশাররফ হোসেনের দিন-মজদুরির আয়েই পরিবারটি চলছে। মাঝে মাঝে মোশারফ কোনো কাজই পান না। 

"এমন সঙ্কটে কোনোদিন পড়িনি। আম্পানে আমার এক লাখ টাকার চিংড়ি নষ্ট হয়। তারপর দেনা করা ছাড়া উপায় ছিল না। এবছরও চিংড়ি চাষ করতে পারব না। কীভাবে বেঁচে থাকব কে জানে।"

মুসলিমা বলেন, "পাঁচ সদস্যের পরিবারের জন্য দৈনিক খাবারের জোগান দেওয়া খুবই কঠিন কাজ। আগে বাড়ির কাছের সবজি বাগানে শাক-সবজির চাষও করতাম। সেখান থেকে টাটকা সবজির যোগান আসতো। আম্পানে সব গেছে, এখন সব বাজার থেকে কিনতে হয়। সবকিছুর দাম সেখানে চড়া, তাই আমাদের মতো অসহায় মানুষের পক্ষে বেশি কিছু কেনা সম্ভবও নয়। 

সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা ৪৫ বছরের নূর ইসলাম। তিনিও চিংড়ি চাষি ছিলেন। তার মতে, ব্যবসার উপায় একেবারে শেষ। 
"গত কয়েক বছর ধরে চিংড়ি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। নানা সময়ে ছোটখাটো অনেক সমস্যা এসেছে। একবার চিংড়ির মধ্যে নতুন এক জীবাণুর সংক্রমণে খুব লোকসানও হয়। কিন্তু, কঠোর পরিশ্রম করে আবারও তা কাটিয়ে উঠি। এক বছর ব্যবসা খারাপ হলে, পরের বছর তা কাটিয়ে ওঠা- এভাবেই চলছিল। কিন্তু, এবার আম্পান আমাকে পথে বসিয়েছে।" 

আম্পানের পর উপকূলের চাষিরা ঘুর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাওয়া যেকোনো সম্পদ বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে দিন কাটাচ্ছেন। নূর ইসলাম তার শেষ গরুটাও বেঁচেছেন কিছুদিন আগে। সেখান থেকে কিছু টাকা দিয়ে শোধ করেছেন জমি মালিকেরা পাওনা টাকা। বাকি টাকায় একটি নৌকা কিনে এখন নদী পাড়াপাড়ের কাজ করেন। এতে দিনে আয় হয় সর্বোচ্চ ৩শ' টাকা। ছয় সদস্যের পরিবারে তাতে কোনোমতে দু'বেলা খাবার জোটে। অভাবের তাড়নায় তার মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। কলেজ পড়ুয়া বড় ছেলেকেও টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।

'গরু বিক্রি করে আর নৌকার মাঝি হয়ে বেঁচে থাকব, কোনোদিন ভাবতেও পারিনি,' বলছিলেন নূর।  

কাটমার চরের চিংড়ি ও কাকড়া চাষিরা। ছবি: রফিকুল ইসলাম মন্টু/ দ্য গার্ডিয়ান

"প্রতিদিন টিকে থাকতেই লড়াই করতে হচ্ছে। দেনাও আছে দুই লাখ। কেমন করে শোধ করব, জানি না। ঋণ শোধ না করে নতুন চিংড়ি ঘের তৈরিও সম্ভব নয়। কয়েক বছর ধরে আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। আর এখন দিনেদিনে তার আরও পতন হচ্ছে।"

নূর সরকারের সহায়তা আশা করে বলেন; "প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা ঠেকাতে পারি না। মহামারি শেষে চিংড়ি চাষের সুদিন ফিরতে পারে। তবে সেজন্য সরকারি সহায়তা দরকার। চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্যেই তা দেওয়া উচিৎ। সরকারকে অবশ্যই আমাদের কথা ভাবতে হবে।" 

  • সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান 

Related Topics

টপ নিউজ

চিংড়ি চাষ / উপকূলীয় অঞ্চল / ঘূর্ণিঝড় আম্পান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই
  • ইরানের বাড়তি পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া
  • সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি কিয়ার স্টারমার: এফটি
  • ‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস
  • দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু

Related News

  • ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চিংড়ি রপ্তানি, তবে কাঁচামালের সংকটে হুমকিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি
  • ঝড়ের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যৌন হয়রানির শিকার হন নারীরা: গবেষণা
  • উপকূলীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় মডেল নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা
  • শরণখোলায় এক বছর না যেতেই ভেঙে পড়ছে বেড়িবাঁধ, আতংকে উপকূলবাসী
  • উপকূলজুড়ে রিমালের ক্ষতচিহ্ন: দেড়লাখ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, মৎস্য-কৃষি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে মেডিক্যাল হোস্টেলের ওপর বিমান বিধ্বস্ত: ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই

2
আন্তর্জাতিক

ইরানের বাড়তি পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া

3
বাংলাদেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

4
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি কিয়ার স্টারমার: এফটি

5
বাংলাদেশ

‘পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস

6
খেলা

দিল্লিতে দাবা টুর্নামেন্ট: রানী হামিদের সঙ্গীকে ঢুকতে দেয়নি ভারত, ঘটনায় ‘বিপর্যস্ত’ ৮০ বছর বয়সি এ দাবাড়ু

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net