মার্কিন শুল্ক বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলবে: ফাহমিদা খাতুন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তাহলে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
ড. ফাহমিদা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এতো উচ্চ শুল্কের অধীনে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষত রপ্তানি চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে।"
তিনি বলেন, এই প্রভাব তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ (পশ্চাৎ ও সম্মুখ সংযোগ শিল্প) থেকে শুরু করে ব্যাংকিং, বিমা এবং সার্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা পর্যন্ত একাধিক খাতে ছড়িয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, তিন মাস ধরে চলা আলোচনার পর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চূড়ান্ত শুল্কের পরিমাণ উল্লেখ করে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নেতাদের উদ্দেশ্যে সোমবার চিঠি পাঠান ট্রাম্প। এসব চিঠি ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতো।
সোমবারের ঘোষণায় বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
শুরুতে এই শুল্ক ৯ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।