সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আরও ২১ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন নারী, ৮ জন পুরুষ ও ৮ জন শিশু। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়। চলতি মে মাসেই সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চার শতাধিক বাংলাদেশিকে এভাবে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ।
স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, ফেরত আসা এসব ব্যক্তি কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গুজরাটের বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। তিন দিন আগে তাদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে এবং বিএসএফের মাধ্যমে বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
ঘটনার পর ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কেরামত শেখ (৬০), রমেছা বেগম (৫৫), কুলছুম শেখ (২০), ওমর শেখ (২ মাস), জহুরা বেগম (৬০), সোহাগী বেগম (৩২), সিদ্দিক শিকদার (১৮), সুমাইয়া বেগম (১১), রাফি শিকদার (৯), হাসান শিকদার (৩), জুয়েল শাহানুর শেখ (২৮), মরিয়ম খাতুন (২৫), আমেনা খাতুন (৮), আনার শেখ (২ মাস), তাছলিমা বেগম (৩৫), ইয়ামিন (১৭), ইয়াসিন (৫), ইয়াকুব (৪), রোকসানা (৩৫), আজগর আলী (৪০) ও ইতি বেগম (৩৬)।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান বলেন, '২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।'
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে দিনমজুরের কাজ করতেন। সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
এর আগে ২৫ মে একই সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে পুশ-ইন করেছিল বিএসএফ। এরপর বিজিবি সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছিল। এখন পর্যন্ত ওই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মোট ৫৩ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে।