কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন খালেদা। আগামীকাল ৪ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি উড্ডয়নের কথা রয়েছে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী ৫ তারিখে (৫ মে) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বিশেষ বিমানে, যে বিমানে তিনি গেছেন, কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি আবার দেশে ফিরবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ, এই সময়টা বিভিন্ন বিষয়ে ওপর নির্ভর করবে।'
প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'নেত্রী ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ আজ উৎসাহিত, উজ্জীবিত যে তাদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরছেন। তাকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।'
তিনি আরও বলেন, 'শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আছে। এনিয়ে আমরা যৌথ সভা করেছি। জনগণ যাতে তাদের নেত্রীকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এক হাতে দলীয় পতাকা, অন্য হাতে ফুল নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।'
দলীয় সূত্র জানায়, অভ্যর্থনার জন্য মূল দায়িত্বে থাকবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। পাশাপাশি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগের চাইতে তিনি এখন অনেক সুস্থ বোধ করছেন। সেই কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তিনি এখন দেশে ফিরবেন।'
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া।