সাভারে পুলিশের এপিসি থেকে ফেলে ইয়ামিনকে হত্যায় আইসিটিতে মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যান আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে ফেলে গুলি করে শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তবে আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রশিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গত ১৮ জুলাই ঢাকার সাভারে ব্যাংক কলোনির সামনে গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে সাঁজোয়া যান এপিসি-তে তোলে পুলিশ। এরপর তাকে গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলতে দেখা যায়।
আদেশের পর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এই ১০ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা রয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০টি মামলার দায়ের হয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।
গত বছর ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ইয়ামিন শহিদ হন। ওই সময় পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসি থেকে তাকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়ার ভিডিও তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে ইয়ামিনকে টেনে নিচে ফেলা হয়। এরপর পুলিশের এক সদস্য সাঁজোয়া যান থেকে নেমে ইয়ামিনের এক হাত ধরে তাকে টেনে আরেকটু দূরে সড়কে ফেলে রাখেন। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে টেনে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে ঠেলে অপর পাশে ফেলে দেন।