বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, 'আপনারা এসে দেখেছেন এবং আমাদের দেশের মানুষ কীভাবে ভোট দেয় তার সাক্ষী হয়েছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে এমন দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করেছি।'
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জনগণ এই নির্বাচনে তার দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এ ছাড়া অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অন্যান্য দলের কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়কে তিনি জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করে বলেন, 'এ জয় আমার নয়। আমি মনে করি- এটি জনগণের বিজয়।'
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, "জনগণের উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের অর্থনৈতিক বিকাশ, আরও উন্নত জীবনমান ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য।"
বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রতিটি দলেরই নির্বাচনে আসা বা না আসার অধিকার আছে। জনগণের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে কিনা– সেটাই মূল বিষয়।"
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন– ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতরা।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তাঁদের নিজ দেশের সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব দেশের সম্পৃক্ততা কামনা করেন।
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন স্বল্প ভোটার উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে, তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা বাদ দিলে সার্বিকভাবে নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। প্রধান বিরোধী দলগুলো না থাকায়– এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়াদের সাথে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।
নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত তথ্যানুসারে, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা ২২৩ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন, অন্যদিকে স্বতন্ত্ররা জিতেছেন ৬১ আসনে। সে তুলনায়, ১১ আসনে জিতেছে জাতীয় পার্টি, আর একটি করে আসনে জিতেছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং কল্যাণ পার্টি।