Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 05, 2025
যে কারণে সিলিকন ব্যাংকের পতন হলো; সামনে আর্থিক কি সংকট আসন্ন?

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
15 March, 2023, 01:50 pm
Last modified: 16 March, 2023, 12:56 pm

Related News

  • লোকসানের কারণে ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারছে না আইএফআইসি ব্যাংক
  • জুলাইয়ের পর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
  • জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত হচ্ছে দুর্বল ৬ ব্যাংক, সাময়িক মালিকানা নেবে সরকার: গভর্নর
  • শিল্প ও জ্বালানি সংকট: ‘১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবীদের মতোই উদ্যোক্তাদের হত্যা করা হচ্ছে’: বিটিএমএ সভাপতি
  • চুরি হওয়া তহবিল উদ্ধারে আন্তর্জাতিক চাপ ও লন্ডনে সম্পদ জব্দের প্রশংসা করলেন গভর্নর

যে কারণে সিলিকন ব্যাংকের পতন হলো; সামনে আর্থিক কি সংকট আসন্ন?

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রকরা ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা-ভিত্তিক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের সম্পদ অধিগ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর একেই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর রোববার আমেরিকার আরেক জনপ্রিয় ব্যাংক সিগনেচার ব্যাংকও বন্ধ হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা আজও রয়ে গেছে।
টিবিএস ডেস্ক
15 March, 2023, 01:50 pm
Last modified: 16 March, 2023, 12:56 pm

ছবিসূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

আমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাংক- সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি)। তাদের মূল ব্যবসা ছিল প্রযুক্তি স্টার্টআপের জন্য ঋণ দেওয়া। গত বুধবার ব্যাংকটি ব্যালেন্স শিট বা স্থিতিপত্র শক্তিশালী রাখতে ২২৫ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়। কিন্তু, তাতেই হলো হিতে-বিপরীত।

নতুন শেয়ার ছাড়ার ঘোষণায় পুঁজিবাজারে এসভিবির শেয়ারের দর ৬০ শতাংশ কমে। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আমানতকারীরা ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার উত্তোলন করে ফেলেন। বিনিয়োগকারীরা শঙ্কা করেন, শেয়ারের দর আরো পড়বে।

এই অবস্থায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রকরা ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা-ভিত্তিক ব্যাংকটির সম্পদ অধিগ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর একেই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।  

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চূড়া থেকে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের এ পতন – আর্থিক ও প্রযুক্তি খাতে চরম বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।

এদিকে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর রোববার আমেরিকার আরেক জনপ্রিয় ব্যাংক সিগনেচার ব্যাংকও বন্ধ হয়েছে। ব্যাংকটির গচ্ছিত অর্থ এবং যাবতীয় নথিপত্র অধিগ্রহণ করেছে সরকার।

এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা আজও রয়ে গেছে। গত সপ্তাহভর মিলেছে তারই প্রমাণ। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারের সাথে সাথে বিশ্ববাজারেও দেখা দিয়েছে আন্দোলন। অর্থনীতিবিদেরা এই প্রেক্ষাপটে আরো গভীরতর বিপর্যয়ের প্রমাদ গুনছেন। এই প্রেক্ষাপটে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ব্যর্থ হওয়ার ঘটনাক্রম জেনে নেওয়া যাক।

এসভিবির পতন যেভাবে…

শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান একদিনে ধসে যায় না, তবু সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে রাতারাতি যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার কারণও লুকিয়ে আছে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক চর্চাগুলোর মধ্যেই।

সিলিকন ভ্যালির নামাঙ্কিত ব্যাংকটি প্রযুক্তি খাতের নতুন উদ্যোগেগুলোতেই বেশি বিনিয়োগ করত। করোনা মহামারির সময় মানুষের ঘরে থাকার সময় বাড়ে, এসময় ভোক্তাদের বিনোদনমূলক কন্টেন্ট ও ডেলিভারি সেবাদাতা টেক স্টার্টআপগুলো বিপুল মুনাফা করে। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও সেবা বিকাশের উদ্যোগও নেয় এসময়। ফলে তাদের বড় পুঁজির চাহিদা দেখা দেয়। ঋণ দিয়ে এসময় এসভিবি ভালো ব্যবসা করেছে। এ খাতে বিনিয়োগে আস্থা তৈরি হওয়ায় এসভিবিতে আমানতের পরিমাণও বাড়ে।

তবে নিজেদের বেশিরভাগ নগদ অর্থ মার্কিন সরকারের বন্ড কেনায় বিনিয়োগ করে ব্যাংকটি। সাধারণত বিনিয়োগের নিরাপদ উৎস বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জারি করা বন্ড। তাই তারা আশা করেছিল, নিরাপত্তার সাথে সাথে বন্ড ক্রয় পুঁজি আরো বৃদ্ধি করবে।  

কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেখা দেওয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বছর থেকেই নীতিনির্ধারণী সুদহার বাড়াতে থাকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক- ফেডারেল রিজার্ভ। ফেডের চড়া হারে সুদ বৃদ্ধির ফলে বন্ডের মূল্য পতন ঘটে।

মহামারিকালে যে জোয়ার এসেছিল, তারপরই প্রযুক্তি খাতে আরেক ভাটা দেখা দেয়। এসময় ঝুঁকি এড়াতে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের অনেক গ্রাহক তাদের আমানত তুলে নিতে শুরু করেন। নগদ অর্থের সংকটে এসময় বড় অংকের লোকসানে তাদের হাতে থাকা বন্ড বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় এসভিবি। এতে ব্যাংকটির আর্থিক দশা নিয়েও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ ঘনীভূত হতে থাকে।

এরমধ্যেই বুধবার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা চূড়ান্ত আঘাত হয়ে আসে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা একসঙ্গে এত বেশি অর্থ উত্তোলন করেন যে তাতে ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে।

এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ জেমস অ্যাঙ্গেল বলেন, 'সুদহারের বিপরীতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে ভারসাম্যপূর্ণ না রাখার আনাড়ি ভুল করেছে এসভিবি। বিশেষত, স্বল্পমেয়াদি আমানতকে তারা দীর্ঘমেয়াদি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে। এরপর যখন সুদহার বেড়েছে, তখন বন্ডের মূল্য কমেছে। এতে তাদের সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।'

'১৯৮০-র দশকে ব্যাংকগুলোর এ ধরনের চর্চার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঞ্চয় ও ঋণ শিল্প ব্যাপক সম্পদ হারায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কেউ কেউ কখনই (অতীত থেকে) শিক্ষা নেয় না'- বলছিলেন তিনি।      

ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুকুয়া স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক ক্যাম্পবেল আর. হার্ভির মতে, ব্যাংকগুলোকে তাদের সম্পদ বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে ব্যবস্থাপনা করা উচিত, এসভিবির দুর্দশা সে শিক্ষা দিচ্ছে।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, 'সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে, তারা বিশেষ ধরনের গ্রাহকদের সাথেই ব্যবসা করতো। আর আমরা জানি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি খাতে আঘাত এসেছে। এই অবস্থায় ব্যাংকটির সম্পদে বৈচিত্র্য না থাকায়, তারা ক্ষতির মধ্যে পড়ে।'

শুধু নগদ অর্থ লগ্নী করার ক্ষেত্রেই নয়, ঋণ ব্যবসার গ্রাহকের মধ্যেও বৈচিত্র্য রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। 'আপনার ঋণখাতাকে বৈচিত্র্যময় করতে হবে। এই ব্যাংকটি তা করেছে বলে তো মনে হয় না'-  হার্ভি বলেন।

এ পর্যন্ত এসভিবির পতনের প্রভাব কেমন?  

এসভিবি রিক্ত হওয়ার দিন দুয়েক পরই নিউইয়র্কে সদর দপ্তর থাকা সিগনেচার ব্যাংকের সম্পদ অধিগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এই ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতের ঋণদাতা হিসেবে পরিচিত। সিগনেচারের দেউলিয়াত্বকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাংকিং ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।

ব্যাংক দুটির আরো দুরবস্থা ঠেকাতে গত রোববার মার্কিন কর্তৃপক্ষ উভয়ের যাবতীয় সম্পদের গ্যারান্টার হওয়ার ঘোষণা দেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ-ও 'ব্যাংক টার্ম ফান্ডিং প্রোগ্রাম (বিটিটিপি) নামক একটি ঋণসহায়তা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে ব্যাংকগুলো লোকসানি বন্ড বিক্রি না করে সরাসরি ফেডের কাছ থেকে অর্থ ধার নিতে পারবে। এই পদক্ষেপ আর্থিক খাতের ওপর মানুষের আস্থাকে জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তারপরও অনেকেই আর্থিক ব্যবস্থার বিপর্যয় থেকে আরেকটি বিশ্ব মন্দার শঙ্কাও করছেন। এই অবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, 'আমেরিকানরা আস্থা রাখতে পারেন যে তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুরক্ষিত রয়েছে।'

এরপরও পুঁজিবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বৃহৎ ব্যাংক – জেপি মরগ্যান অ্যান্ড চেজ, ব্যাংক অব আমেরিকা, ওয়েলস ফার্গো এবং সিটিব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাতের শেয়ার দরে বড় পতন হয়েছে। এমনটা হচ্ছে আর্থিক খাতে আপদকালীন পরিস্থিতির আশঙ্কায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিন্সকোতে সদর দপ্তর থাকা মধ্যম সারির ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ার দর প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের ফলে।

এমনকি এশিয়া ও ইউরোপেও ব্যাংকগুলোর শেয়ার দরে এই আঘাত ছড়িয়েছে।

এরমধ্যেই যুক্তরাজ্যের আর্থিক কর্তৃপক্ষ সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের স্থানীয় শাখাকে ইউরোপের বৃহত্তম ব্যাংক এইচএসবিসির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে এসভিবির ৬৭০ কোটি পাউন্ড আমানতকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

কানাডার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে এসভিবির শাখাটির সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। অন্যদিকে, জার্মানির কেন্দ্রীয় আর্থিক নজরদারি কর্তৃপক্ষ ব্যাংকটির শাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যাংকিং শিল্পে এসভিপি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রধান ব্যাংক ছিল না এসভিবি। বরং তারা মধ্যম সারির ঋণদাতা ছিল। ব্যবসার দিক থেকে ষোড়শ বৃহত্তম।

হার্ভি বলেন, 'এটি বৃহত্তম কোনো ব্যাংক না হলেও, অন্যতম বড় একটা ব্যাংক।'

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্সের প্রদত্ত তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ছিল ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। আর মোট আমানত ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি ডলারের।

সে তুলনায়, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জেপি মরগ্যান চেজের গত বছরের শেষ নাগাদ সম্পদ ছিল ৩ লাখ ৬৭ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের।

তবে আকারে মাঝারি হলেও প্রযুক্তি খাতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে এসভিবি। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ উদ্যোক্তাদের সাথে এই ব্যাংকের ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যেসব প্রযুক্তি নবউদ্যোগে পুঁজি লগ্নী করাটা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করতেন, তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার সুনামও ছিল এসভিবির।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের বর্তমান পরিণতিতে প্রযুক্তি খাতের অনেক নির্বাহীই উৎকণ্ঠিত। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে অন্যান্য ব্যাংকের গ্রাহক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। কারণ তাদের আশঙ্কা, এসভিবির কাছে থাকা তাদের তহবিল উত্তোলনে বিধিনিষেধ আসতে পারে।

মার্কিন সরকার এসভিবিতে থাকা গ্রাহকদের সম্পদের নিশ্চয়তা দিলেও, প্রযুক্তি খাতে ব্যাংকটির করুণ দশার আঘাত কাটিয়ে উঠতে আরো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

এসভিবির পতনে ২০০৭-০৮ সালের মতো আর্থিক সংকট দেখা দেবে কি?

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের ঘটনা এখনও চলমান বিষয়। তবে সার্বিকভাবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পেছনে অন্যতম ভূমিকা রাখা লেহমান ব্রাদার্স বা বিয়ার স্টেয়ার্নসের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার চেয়ে এটা কিছুটা আলাদা।

লেহমান ব্রাদার্সের মতো মহীরুহ প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতির বহু খাতে বিনিয়োগ ছিল; সে তুলনায় কেবল এক খাতেই ব্যবসা কেন্দ্রীভূত ছিল এসভিবির। অন্য ব্যাংকের সাথেও তাদের লেহম্যানের মতো ব্যবসা নেই।

পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্পোরেট আইনের অধ্যাপক ডেভিড স্কিল আল জাজিরাকে বলেন, 'এসভিবির পরিণতি নিয়ে নিঃসন্দেহে অনেকেই চিন্তিত, তবে এটাকে লেহম্যান ব্রাদার্সের মতোন বিপর্যয় বলা যাবে না। তাছাড়া ফেডারেল রিজার্ভ যেভাবে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়ে বিমাহীন আমানতকেও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে- তাতে আস্থা রাখা যায়।'

'আমার মতে, সরাসরি প্রভাবগুলো খুব দ্রুতই স্পষ্টভাবে দেখা যাবে (আর সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে)। তবে সুদহার বৃদ্ধির কারণে আরো কিছু ব্যাংক এই সমস্যার মধ্যে থাকতে পারে এমন আশঙ্কাও দেখা রয়েছে।'

২০০৭-০৮ সালের সংকটের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক খাতের বিধিমালা আরো দৃঢ় করা হয়েছে।  

জেমস অ্যাঙ্গেল বলেন, '২০০৮ সালের সংকটের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো হয়। মনে হচ্ছে (বড় বিপর্যয় এড়াতে) তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে।'

'এখন ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি মূলধন হাতে রাখতে হয়, এতে তাদের (দেউলিয়াত্বের) ঝুঁকি অনেকটা কমে। একারণে যেসব ব্যাংক নির্বোধের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ক্ষতি হলে তাদের নিজস্ব সম্পদেরই লোকসান হয়েছে, আমানতকারীদের হয়নি (যেহেতু তারা অর্থ তুলে নিতে পেরেছেন)।'

 

Related Topics

টপ নিউজ

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক / মার্কিন ব্যাংক / ব্যাংক

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি
  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই
  • ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

Related News

  • লোকসানের কারণে ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ দিতে পারছে না আইএফআইসি ব্যাংক
  • জুলাইয়ের পর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
  • জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত হচ্ছে দুর্বল ৬ ব্যাংক, সাময়িক মালিকানা নেবে সরকার: গভর্নর
  • শিল্প ও জ্বালানি সংকট: ‘১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবীদের মতোই উদ্যোক্তাদের হত্যা করা হচ্ছে’: বিটিএমএ সভাপতি
  • চুরি হওয়া তহবিল উদ্ধারে আন্তর্জাতিক চাপ ও লন্ডনে সম্পদ জব্দের প্রশংসা করলেন গভর্নর

Most Read

1
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি

2
বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি

3
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই

4
বাংলাদেশ

‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা

5
আন্তর্জাতিক

১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net