জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৫০০ কোটি টাকা লোকসান আইএফআইসি ব্যাংকের

চলতি বছরের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। মূলত অ্যাসেট কোয়ালিটির অবনতি এই ক্ষতির প্রধান কারণ বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২৯ মে ব্যাংsকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়াপ্রতি ২১ পয়সা আয় হয়েছিল।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের সমন্বিত নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) শেয়ারপ্রতি ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৬৩ পয়সা। একই বৈঠকে জানানো হয়, ক্ষতির কারণে ব্যাংকটি গত বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ সুপারিশ করতে পারেনি।
২০২৪ সালে পুরো বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের মোট সমন্বিত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২১ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছর ব্যাংকটি ৩০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল। পুরো বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৩ পয়সা।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও লভ্যাংশ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমে অংশগ্রহণের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ জুলাই।
ব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বাধীন আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। পরে ছয় সদস্যের একটি টিম নিয়োগ দেওয়া হয় ব্যাংকটির নীতিমালা ও কার্যক্রম তদারকির জন্য।
২০১৫ সাল থেকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা সালমানসহ পুরো বোর্ডকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা ।
ব্যাংকটির এর মধ্যে ৩২.৭৫ শতাংশ শেয়ার সরকারের মালিকানায় আছে, ২১.০৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, ০.৬৩ শতাংশ শেয়ার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এবং বাকি ৪৫.৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ব্যক্তিগতভাবে সালমান এফ রহমানের হাতে ব্যাংকটির ৩ কোটি ৬৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। তার মালিকানাধীন কোম্পানি নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ ও ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল-এর হাতে রয়েছে যথাক্রমে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ও ৩ কোটি ৭৭ লাখ শেয়ার।