ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি বিবৃতি নয়, বিজ্ঞাপন: হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার লেখা খোলা চিঠি একটি বিজ্ঞাপন, কোনো বিবৃতি নয়।
তিনি বলেন, 'এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।'
শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
'ড. ইউনূস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কি-না জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো—এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?'
গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার পুরো একটি পাতায় প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে লেখা এক খোলা চিঠিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের 'মঙ্গল বিষয়ে গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তি।
বিএনপি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি—দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই—এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, তার মানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে।
'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে,' বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-সন্ধ্যা কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করেন। আবার তারা দাবি করেন, তাদের কথা বলার অধিকার নাই।
তাদের এ দাবি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, হাছান মাহমুদ বলেন।