আইএমএফকে দেওয়া ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব থেকে বাংলাদেশ কেন আরো ২০ কোটি ডলার বেশি পাবে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব দিলেও সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশকে কেন এই বাড়তি ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের।
বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে জানতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা বলেছেন, আইএমএফ এর স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) এর বিপরীতে ডলারের দরপতনের কারণেই অতিরিক্ত এই অর্থ পাওয়া যাবে।
বর্তমানে এক এসডিআর- এর বিপরীতে ১.৩৫ ডলার বিনিময় দর রয়েছে। এ হিসাবে, আগামীতে ডলারের আরও দরপতন হলে ডলারের অংকে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণও বাড়বে। তবে এসডিআরের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হলে ডলারের অংকে ঋণের পরিমাণও কমবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ আইএমএফ- এর কাছে এসডিআর থেকে মোট ৩৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব দিয়েছিল। ঋণ প্রস্তাব করার সময়, এসডিআর এর বিপরীতে ডলারের দর হিসাব করে এর পরিমাণ ছিল ৪৫০ কোটি ডলার। এখন ডলারের দরপতনের কারণে ৩৫০ কোটি এসডিআর ৪৭০ কোটি ডলারের সমান।
আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য মূলত ৩৫০ কোটি এসডিআর ঋণ অনুমোদন করেছে, যা বাংলাদেশ মার্কিন ডলারে গ্রহণ করবে। মার্কিন ডলারে এটা এখন ৪৭০ কোটি ডলারের সমান।
আইএমএফ জানায়, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) হলো সদস্য দেশগুলোর আনুষ্ঠানিক রিজার্ভ সম্পদের পরিপূরক একটি রিজার্ভ ব্যবস্থা।
এসডিআর কোনো মুদ্রা নয়। এটা আইএমএফ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্তভাবে বিনিময় হওয়া মুদ্রাগুলোর ওপর সদস্য দেশের সম্ভাব্য দাবি। এর মাধ্যমে একটি দেশ তারল্য সহায়তা নিতে পারে।
মোট পাঁচটি মুদ্রার সমন্বয়ে এসডিআর প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুদ্রাগুলো হলো- মার্কিন ডলার, জাপানি ইয়েন, ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং এবং চীনা ইয়েন।