তুমি ভালো কাজ করছো, মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাঠে থেকে কাজ করছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। সরকারি অনুদান ছাড়াও নিজ অর্থায়নে দুস্থ-অসহায়দের সাহায্য করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক।
মাশরাফির এসব কাজ দৃষ্টি এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পাশাপাশি নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির কার্যক্রমের খবরও রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দুজনের কাজেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার ভিডিও কনফারেন্সে মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'মুক্তি ভালো কাজ করছে, তুমিও ভালো করছো। সবাই মিলে ভালো কাজ করো। নড়াইলে সবাই ভালো কাজ করছে।'
এরআগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মাশরাফি বলেন, 'আমাদের কমিটি করা হয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে। একেক ইউনিয়নে প্রায় ২২-২৩ জনের কমিটি। আশা করছি প্রকৃত যাদের প্রয়োজন ত্রাণ-সামগ্রী দরকার, তারা পেয়ে যাবেন। আপনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আশা করছি আপনার সিদ্ধান্তে আমরা নড়াইলবাসী ভালো থাকব।' এ সময় নড়াইলে আইসিইউ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান মাশরাফি।
করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন মাশরাফি এবং তার ফাউন্ডেশন। করোনার প্রভাব বিস্তারে কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েন নড়াইলের রিকশা-ভ্যানচালক, রাস্তার পাশের চা বিক্রেতা, হকাররা। সবার আগে এসব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান মাশরাফি। এমন তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
বিভিন্নভাবে করোনা মোকবিলায় লড়ে যাচ্ছেন মাশরাফি। কর্মহীন মানুষদের সাহায্যে বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর নিজ অর্থায়নেই নড়াইলে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও মাথায় রেখেছেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নেই নড়াইলের ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুয়েপমেন্ট) দেন তিনি। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।
দুদিন আগে নড়াইল সদর হাসপাতালের গেটে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করেছে মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অন্যান্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
সর্বশেষ নড়াইল কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বন্দীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সাবান, মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন তিনি।