সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে সেনা আহত; কম্বোডিয়ার সঙ্গে ‘শান্তিচুক্তি’ স্থগিত থাইল্যান্ডের
সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত 'শান্তি চুক্তি' বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে চুক্তি সইয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পরই দেশটি এই ঘোষণা দিল। খবর বিবিসি'র।
থাইল্যান্ডের সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির সিসাকেত প্রদেশে কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে সেনারা আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে কম্বোডিয়া জানিয়েছে, তারা এখনও চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। গত জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত সংঘাতে অন্তত ৪০ জন নিহত হওয়ার পর এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা। গত অক্টোবর মাসে মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের নেওয়া সিদ্ধান্তের সাথে একমত। তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা হুমকি....আসলে কমেনি।'
ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনারা টহল দেওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। এক সেনা বিস্ফোরণে পা হারিয়েছে। আনুতিন জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার আহত সেনাদের দেখতে যাবেন।
দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধের ইতিহাস এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো। কম্বোডিয়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে সীমান্ত নির্ধারণের সময় থেকে এই বিরোধ শুরু হয়েছিল। মতবিরোধের জেরে বছরের পর বছর ধরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষে প্রায় ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
কয়েকদিনের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যাকে ব্যাংকক 'কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলাফলের ওপর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের যৌথ ঘোষণা' হিসেবে অভিহিত করেছে।
উভয় পক্ষই বিরোধপূর্ণ এলাকা থেকে তাদের ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করতে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পর্যবেক্ষক দল গঠন করতে সম্মত হয়।
এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে থাইল্যান্ডে আটক ১৮ জন কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।
