সৈকত থেকে গলফ কোর্স: বিশ্বের অভিনব কিছু বিমানবন্দর রানওয়ে
বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় বিমানবন্দরের রানওয়ে দেখতে একইরকম হলেও, কিছু দেশ রানওয়ের নকশায় এনেছে অভিনবত্ব।
কোথাও রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে সমুদ্রের মাঝখানে তৈরি কৃত্রিম দ্বীপে, কোথাও আবার রানওয়ের মাঝের ১৮-হোল গলফ কোর্সে দিব্যি খেলছে মানুষ। আবার কোথাও হয়তো বিমান থেকে নেমে সরাসরি সৈকতের বালিতে পা রাখে মানুষ। এমনই অদ্ভুত আর বিস্ময়কর ১২টি রানওয়ের কথা আলোচনা করা হলো:
বারা বিমানবন্দর, স্কটল্যান্ড
যদি আপনি বিমান ভ্রমণ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য একেবারেই মিস করতে না চান, তবে স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডস দ্বীপপুঞ্জের বারা আপনার জন্য আদর্শ। এটি বিশ্বের একমাত্র বিমানবন্দর যার রানওয়ে সরাসরি সৈকতের ওপর নির্মিত।
এখানে মাত্র একটি রুট চালু আছে—লগানেয়ারের ১৪০ মাইল দীর্ঘ গ্লাসগো-বারা ফ্লাইট। ১৯ সিটের ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৬ টুইন অটার উড়োজাহাজ এখানে যাতায়াত করে। পাইলটেরা ট্রেই মোর নামের একটি প্রশস্ত উপসাগরে অবতরণ করে, যা দ্বীপটির উত্তর দিকে অবস্থিত।
ফ্লাইটের সময় নির্ধারণ করা হয় জোয়ার-ভাটার ওপর ভিত্তি করে, যাতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।
যাত্রীরা সৈকত পেরিয়ে টার্মিনালে পৌঁছান এবং মূল ভূখণ্ড থেকে ফেরার সময় আবার বালির ওপর দিয়ে হেঁটে এসে বিমানে ওঠেন। এই কারণেই আবহাওয়ার কারণে এখানকার ফ্লাইট প্রায়ই বাতিল হয়, তাই এখানে ভ্রমণ করতে চাইলে বাড়তি সময় হাতে রাখাই ভালো।
তবে বিমানপ্রেমীদের জন্য এটি দারুণ অভিজ্ঞতা। ছোট্ট এই বিমানে যাত্রীরা পাইলটদের খুব কাছ থেকে দেখতে পান।
সিএনএন ২০১৯ সালে এই রুটে ভ্রমণ করে জানিয়েছিল, যাত্রীরা সিট থেকে সরাসরি পাইলটের জিপিএস যন্ত্রও দেখতে পেয়েছেন।
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বিশ্বের ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দরের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন ছিল। এজন্য হংকং একটি দ্বীপ তৈরি করে সেখানে বিমানবন্দর নির্মাণ করে। চালু হওয়ার সময় এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রী টার্মিনাল।
পুরোনো বিমানবন্দরটি ছিল কোলুন এলাকায়—যা জনাকীর্ণ ও বিপজ্জনক টার্নের জন্য কুখ্যাত ছিল। নতুন বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে চেক ল্যাপ কক দ্বীপের ওপর, যার আয়তন চারগুণ বাড়ানো হয়েছে ভূমি উদ্ধার প্রকল্পের মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে বিমানবন্দর চালুর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন প্রথম বিদেশি হিসেবে এখানে অবতরণ করেন।
লানতাউ দ্বীপের পাশে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের দেয়াল প্রায় পুরোই কাচের, যা সম্ভাব্য টাইফুনের আঘাতেও ভবন রক্ষার জন্য নকশা করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পথটিও দারুণ—১.৪ মাইল দীর্ঘ সিং মা ব্রিজ দিয়ে যেতে হয়। চালুর সময় এটি ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক ও রেল সাসপেনশন ব্রিজ।
ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, থাইল্যান্ড
আপনি যদি গলফপ্রেমী হন, তবে ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে আপনাকে স্বাগতম। এখানে দুটি রানওয়ের মাঝখানে রয়েছে ১৮-হোলের একটি গলফ কোর্স।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। গলফ খেলতে যাওয়ার আগে সবাইকে বিমানবন্দরের মতো নিরাপত্তা তল্লাশি পেরোতে হয়। তবে কোর্সে খেলার সময় সতর্ক থাকতে হয়, কারণ এখানে কোনো বেড়া নেই। বিমান অবতরণের সময় খেলোয়াড়দের লাল আলো দেখিয়ে সতর্ক করা হয়।
২০০৬ সালে ব্যাংককের মূল বিমানবন্দর সুবর্ণভূমি চালু হওয়ার পরও ডন মুয়াং এখনও বাজেট এয়ারলাইনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। থাই এয়ারএশিয়া ও থাই লায়ন এয়ার এখানে তাদের হাব স্থাপন করেছে।
সাধারণত এখানে সরু-কাঠামোর বিমান ওঠানামা করলেও মাঝে মাঝে বড় প্লেনও আসে। ২০২২ সালে একটি এমিরেটস এ৩৮০ এখানে জরুরি অবতরণ করেছিল। সেদিন গলফ কোর্সে যারা ছিলেন, তারা বিরল এক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলেন।
সামবার্গ বিমানবন্দর, স্কটল্যান্ড
শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ব্রোঞ্জ যুগের সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জার্লশফ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে সময় হাতে নিয়ে যাওয়া ভালো।
যুক্তরাজ্যের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের একটি হিসেবে পরিচিত প্রাচীন ও ভাইকিং যুগের এই ধ্বংসাবশেষ সামবার্গ বিমানবন্দরের একটি রানওয়ের ঠিক পাশেই অবস্থিত। সেখানে পৌঁছাতে হলে আপনাকে গাড়ি, সাইকেল কিংবা হেঁটে রানওয়ে পার হতে হবে।
শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী লারউইক থেকে দক্ষিণমুখী যাওয়ার জন্য একটিই সড়ক রয়েছে। সড়কটি বিমানবন্দরের সীমানা ঘুরে গেলেও একটি রানওয়ের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বরাবর চলে গেছে।
রাস্তার ধারে একটি ছোট্ট ঘরে একজন কর্মচারী থাকেন, তিনি বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণের আগে রাস্তায় বাঁশের ব্যারিয়ার নামিয়ে দেন। বিমান ওঠা-নামা শেষ হলে তিনি ব্যারিয়ারটি তুলে দেন এবং অপেক্ষমাণ গাড়িচালকদের 'থাম্বস আপ' দেখান।
আমাতা কাবুয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মাইক্রোনেশিয়ার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী মাজুরোর আমাতা কাবুয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সরু বালুচরের ওপর নির্মিত।
বিমানবন্দরের একমাত্র রানওয়েটি মূলত প্রায় ৮ হাজার ফুট লম্বা একটি সরু অ্যাসফল্টের ফালা, যা বালুচরের ওপর নির্মিত। দ্বীপটি এতটাই দুর্গম যে রানওয়ে সংস্কারের সময় ফিলিপাইন, হংকং ও কোরিয়া থেকে উপকরণ আনা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে চলেছে 'লাগুন রোড'। এটি হলো ৩০ মাইল দীর্ঘ একটি সড়ক, যা পুরো দ্বীপ জুড়ে বিস্তৃত। এখানে কোথাও গাড়ি থামানোর সুযোগ নেই, কারণ একপাশে বালুচর ও সমুদ্র, আরেকদিকে রানওয়ে।
জেনোয়া ক্রিস্টোফোরো কলম্বো বিমানবন্দর, ইতালি
ক্রিস্টোফার কলম্বাস যেখান থেকে আমেরিকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন, জায়গাটির নাম জেনোয়া। খাড়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত জেনোয়া ইতালির প্রসিদ্ধ একটি বন্দরনগরী।পাবলিক এলিভেটর ও ফিউনিকুলার রেলপথ দিয়ে শহরের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মধ্যযুগ থেকে শহরটির প্রতি ইঞ্চি জমি ভবন দিয়ে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায়, ২০ শতকে এসে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। বিমানবন্দর তৈরির জন্য নতুন জমির দরকার পড়লে পশ্চিম দিকে কৃত্রিম উপদ্বীপ তৈরি করে সেখানে নির্মাণ করা হয় জেনোয়া বিমানবন্দর।
১৯৬২ সালে চালু হওয়া এই বিমানবন্দরে ১৯৮৬ সালে টার্মিনাল ভবন যুক্ত করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারির পর ভোলোতিয়া ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ অনেক এয়ারলাইন ফ্লাইট বন্ধ করায়, বিমানবন্দরটি এখন আর আগের মতো ততটা ব্যস্ত নয়।
তবে জেনোয়ায় নামার অভিজ্ঞতা দারুণ—মন হয় প্লেন বুঝি সাগরের বুকে নামছে, এরপর হঠাৎ চোখে পড়ে রানওয়ে।
জিব্রাল্টার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
জিব্রাল্টারের এই রানওয়ে এতটাই বিখ্যাত যে জন লেনন ও ইয়োকো ওনো বিয়ের পর এখানে ছবি তুলেছিলেন। সামবার্গের রানওয়ে পার হওয়া যদি রোমাঞ্চকর মনে হয়, তবে জিব্রাল্টারের রানওয়ের অভিজ্ঞতা আরও এক ধাপ এগিয়ে।
২০২৪ সালে এখানে ৩ হাজার ৬২৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। স্কুটার, সাইকেল বা হেঁটেও পার হওয়া যায় এই রানওয়ে। আগে গাড়িও পার হতে পারত, তবে ২০২৩ সাল থেকে গাড়ির জন্য টানেল চালু হওয়ায় এখন আর রানওয়েতে গাড়ি তোলা যায় না।
বিমান ওঠা-নামার সময় পুলিশ লাল আলো জ্বালিয়ে আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেন।
এখন রানওয়ে পার হওয়া জিব্রাল্টার ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। এমনকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে কীভাবে রানওয়ে পার হতে হবে তার জন্য কিছু পরামর্শও দিয়ে রেখেছে।
যেমন—রানওয়েতে বেশি সময় ধরে ছবি তুলবেন না, আবর্জনা ফেলবেন না, শিশু ও পোষা প্রাণীর দিকে খেয়াল রাখুন [হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও, তাদেরও রানওয়েতে ঘোরার অনুমতি রয়েছে] এবং বাতাসে আপনার পকেট থেকে কিছু পড়ে যাচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন; কারণ বিমানের ইঞ্জিনে এগুলো ঢুকে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
বোরা বোরা, ফরাসি পলিনেশিয়া
আরেকটি ট্রপিক্যাল স্বর্গীয় বিমানবন্দরের নাম বোরা বোরা বিমানবন্দর। ফরাসি পলিনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ বোরা বোরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত। এটি একটি লেগুনের মধ্যে অবস্থিত।
বোরা বোরায় বিমানবন্দরে অবতরণের পর আপনাকে নৌযানে করে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে হবে (একটি ডক ও তিনটি পন্টুন রয়েছে)। এয়ার তাহিতি ও এয়ার মোয়ানা এই রুটে এটিআর৪২ ও এটিআর৭২ টার্বোপ্রপ ব্যবহার করে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলের উপর দিয়ে উড়ে এসে এই দ্বীপের মাঝখানের রানওয়েতে অবতরণ করে।
রানওয়েটি প্রায় পুরো দ্বীপজুড়ে বিস্তৃত এবং শুভ্র বালুচরের একেবারে প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সরাসরি এখানে আসে না। আন্তর্জাতিক যাত্রীরা সাধারণত তাহিতি পৌঁছে তারপর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বোরা বোরায় যান।
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জাপান
জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুটি সংযুক্ত কৃত্রিম দ্বীপের উপর নির্মিত। এটি সমুদ্রতট থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে ও প্রায় ৬০ ফুট গভীর জলে অবস্থিত। সাত বছরের নির্মাণকাজ শেষে ১৯৯৪ সালে এটি চালু হয়। বিখ্যাত স্থপতি রেনজো পিয়ানো'র নকশা করা এর টার্মিনালটিও অনন্য।
২০০১ সালে আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এটিকে সহস্রাব্দের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মনুমেন্ট পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি ভবনের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
২০০৭ সালে এটির দ্বিতীয় রানওয়ে চালু হয়। তবে কাজটি মোটেও সহজ ছিল না, নরম মাটিতে নির্মিত হওয়ায় ১৯৯৪ সালে নির্মিত বিমানবন্দরটি বছরে প্রায় ২০ ইঞ্চি করে দেবে যাচ্ছিল। পরে স্থিতিশীলতা আসে এবং ২০০৮ সালে বার্ষিক দেবে যাওয়ার হার ৩ ইঞ্চিরও কমে নেমে আসে।
দর্শনার্থীদের জন্য এখানে রয়েছে 'স্কাই ডেক', যেখান থেকে বিমানের অনন্য দৃশ্য দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। এছাড়া এখানে একটি বাগান ও শিশুদের খেলার জায়গাও রয়েছে। এমনকি একটি বিমানবন্দর জাদুঘরও আছে, যেখানে নির্মাণকাজের ভিডিও ও মডেল প্রদর্শন করা হয়।
নাউরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নাউরুর (ভ্যাটিকান সিটি ও মোনাকোর পর বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ) আয়তন মাত্র আট বর্গমাইল। আয়তন যাই হোক, মাইক্রোনেশিয়ার এই দেশের রয়েছে জাতীয় বিমান সংস্থা 'নাউরু এয়ারলাইনস' এবং একটি বিমানবন্দর। নাউরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত।
দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল কেটে তৈরি নাউরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক পাশে সমুদ্র আর অন্য পাশে রাজধানী শহর। রানওয়ের আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা।
দ্বীপ ঘিরে থাকা প্রধান সড়কটি বিমানবন্দরটির চারপাশ ঘিরে তৈরি। সড়কটির কোনো অংশ রানওয়ের ওপর দিয়ে যায়নি, তবে এটি রানওয়ের দুই প্রান্ত ঘেঁষে গেছে।
তাই যখন কোনো বিমান অবতরণ করে বা উড্ডয়ন করে, তখন যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মানুষ খুব কাছ থেকে বিমান ওঠানামার দৃশ্য উপভোগ করতে পারে।
চুবু সেন্ট্রেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জাপান
একটি নয়, জাপান দুটি অসাধারণ কৃত্রিম দ্বীপ বিমানবন্দর তৈরি করেছে। এর মধ্যে একটি হলো চুবু বিমানবন্দর। পাঁচ বছর ধরে নির্মিত অসামান্য সুন্দর এই বিমানবন্দরটি সমৃদ্ধ শিল্পনগরী নাগোয়ার কাছে অবস্থিত। ২০০৫ সালে বিমানবন্দরটি চালু হয়।
২০১৯ সালে এর দ্বিতীয় টার্মিনাল চালু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দুটি রানওয়ে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে এখানে দারুণ সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে। কারণ দ্বীপটিতে রয়েছে আইচি স্কাই এক্সপো কনফারেন্স সেন্টার।
এছাড়া পর্যটকদের জন্য রয়েছে 'এরিয়াল থিম পার্ক' ফিল্ড অব ড্রিমস।
ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মালদ্বীপ
মালদ্বীপের রাজধানী মালের কাছে হুলহুলে দ্বীপে গড়ে ওঠা ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১.৩ মাইল লম্বা সেতুর মাধ্যমে মালদ্বীপের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। এই রানওয়ের চারপাশে নীল জলরাশি। ২০২২ সালে এখানে নতুন রানওয়ে ও সিপ্লেন টার্মিনাল চালু হয়, যেখানে চারটি ওয়াটার রানওয়ে রয়েছে।
১৯৬৬ সালে মালদ্বীপবাসী (স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায়) এটি নির্মাণ করে। ২০২২ সালে ১১ হাজার ১৫০ ফুটের নতুন রানওয়ে নির্মিত হয়, যা এয়ারবাস এ৩৮০ বহন করতে সক্ষম।
২০২৪ সালে এর কার্গো সক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পায় এবং ২০২৫ সালে নতুন যাত্রী টার্মিনাল চালু হয়।