জর্জ ফ্লয়েড বিক্ষোভে হাঁটু গেড়ে সম্মান জানানোয় এফবিআই এজেন্টদের বরখাস্তের অভিযোগ
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভে হাঁটু গেড়ে সম্মান জানানোয় এফবিআই এজেন্টদের একটা দলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এফবিআই।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (স্থানীয় সময়, ২৬ সেপ্টেম্বর) ১৫ থেকে ২০ জন এজেন্টকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
এফবিআই এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এজেন্টদের অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড ২০২০ সালের মে মাসে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে নিহত হন। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন নয় মিনিটের বেশি সময় ধরে তার ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকায় ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দেয়। সরকারি ময়নাতদন্তে বলা হয়, ঘাড়ে চাপের কারণে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শভিনকে হত্যার দায়ে ২২ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ বা উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল হিসেবে বহু পুলিশ সদস্য ও এজেন্টকে হাঁটু গেড়ে বসতে দেখা যায়। তবে ডানপন্থি রাজনৈতিক মহল এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা এটিকে 'বামপন্থি' ও 'ওয়োক' সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে।
মার্কিন সাবেক ফুটবল তারকা কলিন ক্যাপারনিকের হাত ধরে 'টেক দ্য নি' বা হাঁটু গেড়ে বসা আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে।
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এফবিআই থেকে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সংস্থার সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ব্রায়ান ড্রিসকল, ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসের সাবেক সহকারী পরিচালক স্টিভেন জেনসেন এবং লাস ভেগাস ফিল্ড অফিসের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট স্পেন্সার ইভান্স।
এ মাসের শুরুর দিকে এই তিন সাবেক কর্মকর্তা এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল ও মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
