ইসরায়েল অংশ নিলে ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি আয়ারল্যান্ডের

ইসরায়েল প্রতিযোগিতায় থাকলে ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং কনটেস্টে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা করেছে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিই।
বুধবার এক বিবৃতিতে আরটিই জানায়, গাজায় চলমান সহিংসতা ও প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে এ আয়োজনে আয়ারল্যান্ডের অংশগ্রহণ 'অগ্রহণযোগ্য'। সাতবারের ইউরোভিশন বিজয়ী আয়ারল্যান্ড সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৬ সালে।
ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর নিজেদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে বলে জানিয়েছে আরটিই।
আগামী মে মাসে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবে ইউরোভিশনের আসর। তবে ইসরায়েল থাকলে প্রতিযোগিতা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আরও কয়েকটি দেশ।
আয়ারল্যান্ডের পর স্লোভেনিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিভিএসএলও জানায়, ইসরায়েলকে অংশ নিতে দিলে তারাও সরে দাঁড়াবে। একই অবস্থান জানিয়েছেন স্পেনের সংস্কৃতিমন্ত্রী আর্নেস্ট উর্তাসুন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল থাকলে স্পেনও অংশ নাও নিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ইউরোভিশনের পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, ইবিইউ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ে সদস্য দেশগুলোর উদ্বেগ অনুধাবন করছে এবং কীভাবে ভূ-রাজনৈতিক চাপ সামলানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যভাগের মধ্যে ব্রডকাস্টারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে গত মে মাসেও ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে ইবিইউ–এর সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ করেছিল আরটিই। সে সময় মহাপরিচালক কেভিন বাখরস্ট জানান, গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি, জিম্মিদের অবস্থা এবং ইসরায়েল সরকারের চাপ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৭০ জনের বেশি সাবেক ইউরোভিশন প্রতিযোগী একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
আয়ারল্যান্ডের ইউরোভিশন ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান ফ্র্যাঙ্ক ডারমোডি আরটিই–এর অবস্থানকে 'খুব ভালো সিদ্ধান্ত' বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, টানা দুই বছর ধরে একটি দেশ প্রতিযোগিতাটিকে শান্তি ও ভালোবাসার বদলে উল্টো বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করছে।
ডারমোডি আরও জানান, অন্য দেশগুলো আয়ারল্যান্ডের পথ অনুসরণ করলে দর্শকসংখ্যায় বড় পতন ঘটতে পারে। তার ভাষায়, 'শেষ পর্যন্ত হয়তো মাত্র ১৫ থেকে ২০টি দেশ নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে।'
সাধারণত ইউরোভিশনে ৩৭ থেকে ৪০টি দেশ অংশ নেয়।