কাঠমান্ডুর সর্বোচ্চ হোটেল হিলটন এখন পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ

একসময় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর সর্বোচ্চ দালান হিসেবে পরিচিত ছিল হিলটন হোটেল। কিন্তু আজ সেটি শুধু কালো পোড়া ধ্বংসস্তূপ। নেপালে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা গত গত মঙ্গলবার পাঁচ তারকা এই হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা দুই দিন ধরে ভবনটি জ্বলতে থাকে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ড্রোনের সাহায্যে আকাশ থেকে তোলা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, হোটেলের পোড়া কাঠামো থেকে তখনও ঘন ধোঁয়া উড়ছে। শহরের অন্যতম প্রতীকী এই ভবনের ধ্বংসস্তুপ এখন নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত সোমবার থেকে নেপালজুড়ে শুরু হওয়া সহিংসতার পেছনে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। যদিও দুর্নীতি এবং রাজনীতিবিদদের প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণই ছিল মূল বিষয়।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার ঘোষণা শেষপর্যন্ত পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও পরে সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়, তবুও পরিস্থিতি আর শান্ত হয়নি। এমনকী সরকারকেও গদি ছাড়তে হয়েছে। প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে টালপাটাল হিমালয় কন্যাখ্যাত দেশটি।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এপর্যন্ত বিক্ষোভে অন্তত ৩১ জন নিহত এবং ১,০৩৩ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা পুরো দেশকে অচল করে দিয়েছে।
হিলটনের মতো আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং পর্যটননির্ভর নেপালের ভাবমূর্তিতেও ভয়াবহ আঘাত হেনেছে। ইতোমধ্যেই পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির হিসাব কষতে শুরু করেছেন।