অবৈধভাবে প্রাণী সংগ্রহের অভিযোগ; তদন্তের মুখে আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানা ‘বনতারা’, উদ্বোধন করেছিলেন মোদি

অবৈধভাবে প্রাণী সংগ্রহ এবং তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি পরিচালিত চিড়িয়াখানা 'বনতারা' তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি বনতারার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন, আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বলেছে, অভিযোগগুলোর সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও, কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ ওঠায় এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এশিয়ার অন্যতম ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি পরিচালিত এই 'বনতারা' চিড়িয়াখানায় প্রায় ২ হাজার প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ হাতি; চিতাবাঘ, বাঘ ও সিংহ মিলিয়ে ৩০০টি বড় শিকারি প্রাণী ১ হাজার ২০০টি সরীসৃপ রয়েছে।
বনতারা কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলো নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আইনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য বজায় রাখতে বনতারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাণীদের উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং পরিচর্যাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।'

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'বনতারা' উদ্বোধন করে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এই উদ্যোগকে 'সত্যিই প্রশংসনীয়' বলে অভিহিত করেন। গত বছর অনন্ত আম্বানির জমকালো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের অন্যতম একটি আয়োজনস্থলও ছিল এই 'বনতারা'। আম্বানিদের তেল পরিশোধনাগারের পাশেই এই প্রাণী সংগ্রহশালাটি স্থাপন করা হয়েছে।
তবে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণী কর্মী ও সংরক্ষণবাদীদের সমালোচনার শিকার হয়ে আসছে।
মঙ্গলবার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট চারজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)-কে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্তরা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আগের অভিযোগের সাথে এসআইটি 'জলবায়ু পরিস্থিতি' সংক্রান্ত অভিযোগ এবং শিল্পাঞ্চলের কাছে সুবিধাটি অবস্থিত হওয়ার অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখবে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত রয়েছে।