নিরাপত্তা গ্যারান্টির অংশ হিসাবে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা পাঠাবেন না ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইউক্রেন পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে, তার অংশ হিসেবে দেশটিতে কোনো অবস্থাতেই সেনা পাঠাবে না ওয়াশিংটন। খবর বিবিসির।
আজ মঙ্গলবার (যুক্তরাষ্ট্র সময় সোমবার রাতে) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প একথা জানান। যুদ্ধাবসানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর— এটিই ট্রাম্পের প্রথম বড় বক্তব্য।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করছেন, যেখানে শুরুতে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন না। "যদি সেটা সফল হয়, তবে আমি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেব এবং সেটি শেষ করব," বলেন তিনি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, (পুতিনের সঙ্গে) আলোচনায় জেলেনস্কি কিছুটা নমনীয়তা দেখাবেন।
কিয়েভ যেসব নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছে, তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে না বলে জোর দিয়ে জানান ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো চাইলে ওই চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে।
ট্রাম্প আরও স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেন ও ন্যাটো মিত্রদের ইউক্রেনকে নিরাপত্তা জোটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা এবং ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ার দাবি বাদ দিতে হবে। "এই দুটি বিষয়ই অসম্ভব," বলেন তিনি।
তিনি এ-ও উল্লেখ করেন যে, পুতিনের সঙ্গে তার গতকালকের ফোনালাপ ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর নেতাদের উপস্থিতিতে হয়নি। "আমি ভেবেছিলাম, সেটা প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি অসম্মানজনক হবে," মন্তব্য করেন ট্রাম্প।