তেলবোঝাই রুশ জাহাজ থমকে আছে উপকূলে; বিকল্প খুঁজছে ভারতীয় পরিশোধক প্রতিষ্ঠানগুলো

ভারতের পশ্চিম উপকূলে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলবোঝাই অন্তত চারটি ট্যাংকার অপেক্ষমাণ রয়েছে। তবে রাশিয়ার এই তেল আমদানিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে দেশটি। এ অবস্থায় নিজেদের তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প উৎস থেকে তেল সংগ্রহের পরিকল্পনা তৈরি ও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি।
জাহাজ-ট্র্যাকিং তথ্য অনুসারে, আকিলিস ও এলাইট গুজরাটের জামনগরের কাছে নোঙর করে রয়েছে। জাহাজ দুটির গত ৩০-৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সিক্কা বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে গেছে।
জুনের শেষ দিকে তারা রাশিয়ার প্রিমোরস্ক ও উস্ট লুগা বন্দর থেকে ইউরালস ক্রুড তেল [রাশিয়ার প্রধান রপ্তানিকৃত অপরিশোধিত তেল] নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এই দুই ট্যাংকারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রাশিয়া বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির এক তৃতীয়াংশের বেশি জোগান দিচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নিষেধাজ্ঞার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এ সপ্তাহে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি দেশের তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প উৎস থেকে তেল সংগ্রহের পরিকল্পনা তৈরি ও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আফ্রাম্যাক্স শ্রেণির ট্যাংকার আকিলিস ও এলাইটের প্রতিটির তেল পরিবহনের ধারণক্ষমতা প্রায় ৭ লাখ ব্যারেল। সিক্কা বন্দর থেকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তবে এই দুই প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এছাড়া ডেস্টান ও হোরেই নামের আরও দুটি ট্যাংকার ভারতের উপকূলে অবস্থান করছে। ডেস্টানের গত ২৪-২৫ জুলাই সিক্কা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর ওপরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে হোরেই ট্যাংকারটি ১ আগস্ট ভাদিনারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ওপর যুক্তরাজ্য, ইইউ বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে উভয় আফ্রাম্যাক্স ট্যাংকারের গন্তব্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে।