ইউক্রেনের চাসিভ ইয়ার শহর দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর চাসিভ ইয়ার দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। প্রায় ১৮ মাসের সংঘর্ষের পর তারা শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মস্কো।
তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে দেশটির সামরিক কমান্ড নিশ্চিত করেছে, রুশ বাহিনী চাসিভ ইয়ারের আশপাশে হামলা চালিয়েছে।
বাখমুতের পশ্চিমে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত এই শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনও 'প্রতিরক্ষা বজায় রাখছে' বলেও জানিয়েছে তারা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
যুদ্ধের আগে শহরটিতে ১২ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। তবে দুই বছর ধরে চলা বিমান ও গোলাবর্ষণের কারণে শহরটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ওপেন-সোর্স মানচিত্রভিত্তিক ইউক্রেনীয় ওয়েবসাইট ডিপস্টেটের তথ্যমতে, শহরটির পশ্চিমাংশ এখনও কিয়েভের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রাশিয়ার এই দাবি সত্য হলে, তা হবে দোনেৎস্ক অঞ্চলে মস্কোর জন্য একটি বড় কৌশলগত অর্জন। এর ফলে স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামাতোর্স্ক ও কোস্তানটিনিভকা ঘাঁটিশহরগুলো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছর দোনেৎস্কের অনেক এলাকা দখল করেছে রুশ বাহিনী। এতে তাদের প্রচুর প্রাণহানিও হয়েছে।
কৌশলগত শহর পোক্রোভস্ক তিন দিক থেকে ঘেরা এবং রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক ও দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, রুশ বাহিনী কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে বা মোটরসাইকেলে চলাফেরা করছে, যাতে ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিরক্ষা এড়িয়ে চলা যায়।
কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা
বৃহস্পতিবার ভোরে কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয় বছরের এক শিশু ও তার মা রয়েছেন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো জানান, সভিয়াতোশিনস্কি জেলার একটি আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কিয়েভের উদ্দেশে রাশিয়া ৩০০টির বেশি ড্রোন এবং আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, 'আজ আবারও বিশ্ব দেখল—আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে আমাদের শান্তির আকাঙ্ক্ষার জবাবে রাশিয়া নতুনভাবে প্রদর্শনীমূলক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।'