Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
October 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, OCTOBER 04, 2025
পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণ করেছিলেন এক কৃষক; এক বইয়ে নিয়েছিলেন ৬০ হাজার অটোগ্রাফ; হেঁটেছিলেন ২ লাখ মাইল পথ

আন্তর্জাতিক

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
27 July, 2025, 11:45 am
Last modified: 27 July, 2025, 03:08 pm

Related News

  • বাংলাদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট বন্ধ করবে ক্রোয়েশিয়া: দূতাবাস
  • মাত্র ১০ পাউন্ডে কেনা ‘হ্যারি পটার’ বইয়ের প্রথম সংস্করণ বিক্রি ৩৬ হাজার পাউন্ডে
  • নিলামে উঠছে ম্যাকিয়াভেলির বিখ্যাত বই 'দ্য প্রিন্স'-এর দুর্লভ প্রথম সংস্করণ
  • মেসির অটোগ্রাফ নেওয়ায় চাকরি হারালেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
  • ১০০ বছর আগে যেমন ছিল যাত্রীবাহী প্রমোদতরীতে প্রথম বিশ্বভ্রমণ 

পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণ করেছিলেন এক কৃষক; এক বইয়ে নিয়েছিলেন ৬০ হাজার অটোগ্রাফ; হেঁটেছিলেন ২ লাখ মাইল পথ

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
27 July, 2025, 11:45 am
Last modified: 27 July, 2025, 03:08 pm

একসময় বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল এই অটোগ্রাফের বই। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

মূল্যবান বইটিকে সুরক্ষিত রাখতে সিকিউরিটি কেসের ধাতব হুড়কোগুলো খটাখট বন্ধ করে দিলেন ভিক্টর সিমুনিক। বইখানা এতটাই ভারী যে বয়ে নিতে দুজন লোক লাগে। 

প্রায় এক ফুট পুরু এ বই চামড়া দিয়ে বাঁধানো, কালের ভারে অনেকটাই জীর্ণ। পাতা ওল্টানোর সময় মচমচ শব্দ হয়, দেখতে অনেকটা রূপকথার জাদুমন্ত্রের বইয়ের মতো। ওজন প্রায় ৬০ পাউন্ড; আর বইখানা কিনতে ছোট্ট শহরটিকে গুনতে হয়েছে সোয়া দুই লাখ ডলার।

বইটির ক্রেতা, ক্রোয়েশিয়ার এক ছোট্ট শহরের মেয়র সিমুনিক বলেন, 'এটা সেই সময়ের ইতিহাস। আর এ বই ঘিরে আছে একটা স্বপ্ন।'

এতক্ষণ বলছিলাম জোসেফ মিকুলেচ-এর অটোগ্রাফের বইয়ের কথা। এই সাদামাটা কৃষক ১৯০১ সালে ক্রোয়েশিয়ার ওরোস্লাভিয়ে শহর থেকে বেরিয়ে পড়েন সারা বিশ্ব ঘুরে দেখতে। অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেন তিনি। তার গতিবিধি নজরে রাখতেন সাংবাদিকরা, নিউজরিল বা সংবাদচিত্রে দেখানো হতো তাকে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতেন। তিনি অন্তত ৩৩টি দেশ ভ্রমণ করেছেন, পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন ২ লাখ মাইলেরও বেশি পথ। 

এই দীর্ঘ যাত্রায় তার সঙ্গী ছিল এ বই। বইখানা তিনি কখনও ব্যাগে, কখনও কাঁধে এবং শেষে এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্ট্রলারে করে বয়ে বেড়াতেন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯০৮ সালে মিকুলেচের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের সময় প্রতিবেদন করেছিল: 'পরনের পোশাক দেখে তাকে মনে হয় আল্পাইন পর্বতারোহী, ফুটবলার ও সাইকেলারোহীর মিশেল। তার পিঠে বড়সড় একটি ন্যাপস্যাক আর রোদেপোড়া হাতে ধরা একটি ভারী লাঠি। তিনি যেখানেই গেছেন, সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন।'

১৯৩৩ সালে মারা যান মিকুলেচ। গত ১০০ বছরে এই কৃষকের গল্প ও তার বইখানা প্রায় বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুটো ঘটনায় বদলে যায় সবকিছু।

ওরোস্লাভিয়ের ৩৪ বছর বয়সি  মেয়র সিমুনিক—যিনি নিজেও বিশ্বভ্রমণ করে নিজ শহরে ফিরেছেন—দুই বছর আগে একজন স্থানীয় শিক্ষকের কাছ থেকে মিকুলেচের কথা শোনেন। এই গল্প, নিজের গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন মানুষের সাহস ও স্পর্ধা দেখে তিনি মুগ্ধ হন।

অপর ঘটনাটি আটলান্টিকের ওপারের। সিমুনিকের অগোচরেই একখানা অসাধারণ চামড়ার বই নিয়ে ধন্ধে পড়ে গিয়েছিলেন দুর্লভ পাণ্ডুলিপির ব্যবসায়ী নাথান রাব। ২০২১ সালে এক ব্যক্তি মোটা চামড়ার ফিতে দিয়ে বাঁধা বইটি তার ফিলাডেলফিয়ার অফিসে নিয়ে আসেন।

১৯২০-এর দশকে ২ লাখ মাইলের বেশি পথ হেঁটেছেন জোসেফ মিকুলেচ, বনে গিয়েছিলেন তারকা। ছবি: আনতে কুলাভো

বইখানা নিয়ে আসা ওই ব্যক্তি ছিলেন 'একমি' গ্রোসারি চেইনের প্রতিষ্ঠাতার বংশধর। একমির প্রতিষ্ঠাতা ১৯২৫ সালে মিকুলেচের কাছ থেকে বইটি কিনেছিলেন। রাব প্রথমে বুঝতে পারেননি জিনিসটা ঠিক কী, তবে ধারণা করেছিলেন এর পেছনে অসাধারণ কোনো গল্প লুকিয়ে আছে।

বইখানার জীর্ণ মলাট খুলতেই যেন এক টাইম ক্যাপসুল উন্মোচিত হলো।

১৯১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বইটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের লেখা একটি বার্তা পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে: 'হোয়াইট হাউসে আসার প্রমাণস্বরূপ জোসেফ এফ. মিকুলেচকে এই চিঠি দিতে পেরে আমি আনন্দিত।' উইলসনসহ ছয়জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিকুলেচের বইয়ে স্বাক্ষর দিয়েছেন। 

মুসোলিনি, ফোর্ড, টেসলা, এডিসন, রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জসহ প্রায় ৬০ হাজার বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থামিয়ে এই অটোগ্রাফ বইয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন।

এই অটোগ্রাফ সংগ্রহই মিকুলেচের জীবনের ব্রত হয়ে উঠেছিল।

খ্যাতির চূড়া স্পর্শ করেন মিকুলেচ। মিশর থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিশ্বনেতারা, শিল্পীরা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ বইয়ে স্বাক্ষরের সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত হতেন। এ বই তখন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকার বৈশ্বিক রেফারেন্সে পরিণত হচ্ছিল। কেউ কেউ আস্ত চিঠি লিখতেন; সঙ্গে জুড়ে দিতেন স্ট্যাম্প, সিল আর ছবিও।

সেই সময়ে মেটাল ডিটেক্টর, গেট বা স্ক্যানার দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিখ্যাতদের থেকে আলাদা করে রাখা হতো না। খিটখিটে প্রহরীকে পেরিয়ে যেতে মিকুলেচের সহজাত আকর্ষণই সাধারণত যথেষ্ট ছিল।

১৯২৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হারবার্ট হুভারের সেক্রেটারি ওয়াল্টার এইচ. নিউটন স্বাক্ষর করছেন মিকুলেচের অটোগ্রাফের বইয়ে। ছবি: লাইব্রেরি অভ কংগ্রেস

১৯১৯ সালের ডিসেম্বরে ইভনিং স্টার পত্রিকাকে মিকুলেচ বলেছিলেন, 'আমি সেদিন লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে গিয়েছিলাম।' প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তখন বাইরে থাকায় মিকুলেচ স্বাক্ষরের জন্য তার বইটি রেখে আসেন।

তিনি বলেন, 'ফিরে গিয়ে দেখি বইয়ে মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যের অটোগ্রাফ রয়েছে, আর বাইরে দুজন ফটোগ্রাফার আমার ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন।'

বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিতেন মিকুলেচ; তার মতো ভ্রমণপিপাসুদের শোনাতেন বিশ্বভ্রমণের গল্প। কিছু অনুষ্ঠানে প্রবেশমূল্য নিয়ে এবং অসংখ্য ভক্তের কাছে নিজের ছবিসহ পোস্টকার্ড বিক্রি করে এই অভিযানের খরচ জোগাতেন তিনি।

মিকুলেচ একবার বলেছিলেন, একটি ক্রোয়েশিয়ান প্রকাশনা সংস্থা বলেছিল, পাঁচ বছরে পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণ করতে পারলে এবং তার গল্পের একচেটিয়া স্বত্ব প্রকাশনীটির কাছে বেচে দিলে তাকে ১০ হাজার ডলার দেবে। তবে এই দাবির কোনো বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সত্যটা হলো, মিকুলেচ নিজেই অসাধারণ উপায়ে নিজের প্রচারণা চালাতেন। নিউইয়র্ক থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, যেখানেই যেতেন, বিশাল বই আর অদ্ভুত ভ্রমণপোশাক নিয়ে শহরে ফেরার খবর তিনি সংবাদপত্রগুলোকে আগেভাগেই জানিয়ে দিতেন।

মিকুলেচের অটোগ্রাফের বই। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

ওরোস্লাভিয়ের সিটি কাউন্সিলের সভাপতি এবং রাবের কাছ থেকে বইটি কেনার জন্য সম্প্রতি পূর্ব উপকূল ভ্রমণকারী পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্য রবার্তো কুলেস বলেন, 'আমার মতে, তিনি ছিলেন আজকের দিনের ইনফ্লুয়েন্সার বা ট্র্যাভেল ব্লগারের আদিরূপ।'

মিকুলেচ এত বছর ধরে ভ্রমণ করেছিলেন যে রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে তার পরিচয়ও। তিনবার বিশ্ব প্রদক্ষিণের সময় তিনি কখনও অস্ট্রিয়ান, কখনো ক্রোয়াট এবং কখনও 'যুগোস্লাভিয়ান' বনে গিয়েছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বভ্রমণ ব্যাহত হলে তিনি কয়েক বছর ফিলাডেলফিয়ায় বাস করেন; পরে মার্কিন নাগরিকত্বও পান। 

মিকুলেচের জন্ম ১৮৭৮ সালে, জাগরেবের উপকণ্ঠের ছোট্ট শহর ওরোস্লাভিয়ের কাছে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল, তিনি চাষাবাদই করবেন। কিন্তু তারুণ্যেই তিনি নিজের ভ্রমণপিপাসার কথা জানিয়ে দেন।

মিকুলেচের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে পান সিমুনিক। তিনি বলেন, '১৯০১ সালে যখন মিকুলেচ বলেছিলেন, "আমি বিশ্বভ্রমণ করতে চাই", তখন সবাই তাকে পাগলই ঠাওরেছিল।'

সিমুনিকের ভাষায়, শহরবাসীরা এই স্বপ্নবাজ তরুণকে বলেছিল: 'তোমাকে বিয়ে করতে হবে। সন্তান-সন্ততি মানুষ করতে হবে। বাড়িতে থাকতে হবে তোমাকে। কাজ করতে হবে আর সাদামাটা জীবন কাটাতে হবে।'

ওয়াশিংটন পোস্টের অফিসে মিকুলেচের বই। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

১৯০১ সালে পারিবারিক খামার ছেড়ে ইতালি ও মাল্টায় কাজ করতে যাওয়ার সুযোগ পান মিকুলেচ। ১৯০৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর ২৭ বছর বয়সি মিকুলেচ স্টিমবোটে চেপে পাড়ি জমান দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার প্রায় তিন দশকের দীর্ঘ যাত্রা।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনি দক্ষিণ আমেরিকায় যান। সেখানে রেইনফরেস্টে ক্যাম্প করে থাকতেন; বেঁচে ছিলেন বুনো ফল, শিকড় ও বাদাম খেয়ে। তিনি ছিলেন ঘোষিত নিরামিষভোজী।

ওয়াশিংটনে প্রথম সফরের পর মিকুলেচ গোটা যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেন। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ও টাউন হলগুলোতে তার রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প শোনাতে শুরু করেন। এসব গল্প শুনতে অনেকেই উৎসুক ছিল।

তার বক্তৃতায় উঠে আসত নানা গল্প—'মাটিলডাসের কাছে কীভাবে একটি সাপ তাকে ছোবল দিয়েছিল, আর্জেন্টিনায় কীভাবে এক আদিবাসী নারী পিটিয়েছিল তাকে, রুজভেল্ট ও উইলসন কীভাবে কথা বলেছিলেন তার সঙ্গে , ব্রাজিলের উপকূলে তিমির হাড় এত বিশাল ছিল যে তিনি একটি পাঁজরের হাড়ও তুলতে পারছিলেন না এবং মোরো আদিবাসীদের বুক কীভাবে অমসৃণ গাছ বেয়ে উঠতে উঠতে কুমিরের চামড়ার মতো হয়ে গিয়েছিল'। এসবই ১৯১৯ সালের জুনে ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেসের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়।

ওরোস্লাভিয়ে-তে মিকুলেচের ব্রোঞ্জের মূর্তি। ছবি: ভিক্টর সিমুনিক

মিকুলেচ ছিলেন এডওয়ার্ডীয় যুগের 'ট্র্যাভেল চ্যানেল', 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক' ও ভ্রমণবিষয়ক 'টিকটক'।

মিকুলেচকে প্যারিসে এক সন্ধ্যায় দেখার অভিজ্ঞতা ওয়াশিংটন থেকে আসা এক সাংবাদিক 'ইভনিং স্টার' পত্রিকায় লিখেছিলেন এভাবে—'মিকুলেচ তার ভ্রমণের পোশাকে হাজির হয়েছিলেন। গলায় লাল রুমাল বাঁধা, এক বাহুর নিচে কালো রঙের বড় একটি বস্তু।' এর কয়েক মাস আগেই মার্কিন দূতাবাসে একটি বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় শহরজুড়ে তখন আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

দূতাবাসের কর্মকর্তারা এক বাহুর নিচে কালো পানিরোধী আবরণে মোড়ানো বিশাল জিনিসটি নিয়ে মিকুলেচকে দেখামাত্রই আতঙ্কে এদিক-ওদিক ছিটকে যান। 'দুজন ফরাসি পুলিশ এসে মিকুলেচকে নিয়ে যায়' বলে জানানো হয় স্টার-এর প্রতিবেদনে। সেই বিশাল বস্তুটি ছিল তার সেই বিখ্যাত বই।

ছবি: রাব কালেকশন

আসলে মোট বই ছিল তিনটি—বাকি দুটো আকারে অনেক ছোট। একসময় মিকুলেচের দূরসম্পর্কের পরিবারের কাছে থাকা একটি বই জাগরেবের ক্রোয়েশিয়ান ইতিহাস জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এ বইখানা তারা ২০২৩ সালে সংগ্রহ করে। ফিলাডেলফিয়ায় সবচেয়ে বড় বইটির—যা হারিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল—খোঁজ পাওয়ার খবরে ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসবিদরা আলোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।

মিকুলেচের গল্প যত জেনেছেন, ততই অনুপ্রাণিত হয়েছেন সিমুনিক। কাঁধে বই নিয়ে মিকুলেচের একটি ভাস্কর্য তৈরির আদেশ দেন তিনি। আর ফিলাডেলফিয়ায় থাকা সেই বিখ্যাত ও সবচেয়ে বড় বইখানা কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।

রাবকে ফোন করে তিনি বইটির পৃষ্ঠাগুলোর ডিজিটাল কপি পাঠাতে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, 'তাকে বললাম, আপনি আমাকে চেনেন না। আমি এক ছোট্ট শহরের একজন সাধারণ মেয়র। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ।'

সিমুনিক তার নিজ শহরের নায়কের গল্পকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে এবারের গ্রীষ্মের নির্বাচনে অনায়াসে জয়লাভ করেন। বইটি কেনার জন্য শহরের বাজেট থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এই অর্থ বরাদ্দ নিয়ে শহরের সবাই খুশি ছিলেন না বলে জানান তিনি।

মিকুলেচের ঢাউস অটোগ্রাফের বই। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সিমুনিক বলেন, সম্প্রতি ফিলাডেলফিয়ায় বইটি দেখার সুযোগ পাওয়া ছিল এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। রাব জানান, তিনিও সেই মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।

সিমুনিক তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন: 'প্রথম ধাপ হলো ভাস্কর্য। দ্বিতীয় ধাপ, বইটি আমাদের কিনতেই হবে। ওটা কেনার পরই আমরা জাদুঘর তৈরি করতে পারব। এটাই আসল লক্ষ্য।'

এই জাদুঘর মিকুলেচের মতো ভ্রমণকারীদের জন্য তীর্থস্থান এবং এই তরুণ মেয়রের মতো আধুনিক ভ্রমণকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। সিমুনিক নিজেও তার শহরের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশ্বের অনেকটাই দেখে নেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, 'সারা বিশ্বের ২০০ জনেরও বেশি মেয়র এই বইয়ে সই করেছিলেন। আমার আইডিয়া হলো, এখনকার মেয়রদের সঙ্গে কেন যোগাযোগ করা হবে না? আর তাদের এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণই বা জানানো হবে না কেন?'

মিকুলেচ জাদুঘরে বইখানার একটি রেপ্লিকা রাখা হবে। তবে রেপ্লিকাটির পাতাগুলো থাকবে ফাঁকা। সেই ফাঁকা পৃষ্ঠাগুলো পূরণ করবেন ওরোস্লাভিয়েতে ভ্রমণ করতে আসা মানুষরা।

সিমুনিক বলেন, 'মিকুলেচ বিশ্ব দেখতে বেরিয়েছিলেন। আর এখন গোটা বিশ্ব তার গল্প দেখতে ওরোস্লাভিয়েতে আসতে পারবে।'

Related Topics

টপ নিউজ

বিশ্বভ্রমণ / পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণ / ক্রোয়েশিয়া / দুর্লভ বই / অটোগ্রাফ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
  • শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্পের ধারণাগত নকশা। ৮ দশমিক ০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি হবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ক্যাবল-স্টেইড সেতু। ছবি: সংগৃহীত
    বিদেশি অর্থায়নে গতি পাচ্ছে শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্প
  • অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
    অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
  • কেওক্রাডং পাহাড় চূড়া থেকে দেখা যায় বম সম্প্রদায়ের দার্জিলিং পাড়া। ছবি: টিবিএস
    ৩ বছর পর খুলল অন্যরকম নিসর্গ কেওক্রাডং; ট্রেকিং নয়, গাড়িতে চড়েই যাওয়া যাচ্ছে চূড়ায়
  • ছবি: আর্কাইভ ফটোস
    ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি
  • ছবি: সংগৃহীত
    মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

Related News

  • বাংলাদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট বন্ধ করবে ক্রোয়েশিয়া: দূতাবাস
  • মাত্র ১০ পাউন্ডে কেনা ‘হ্যারি পটার’ বইয়ের প্রথম সংস্করণ বিক্রি ৩৬ হাজার পাউন্ডে
  • নিলামে উঠছে ম্যাকিয়াভেলির বিখ্যাত বই 'দ্য প্রিন্স'-এর দুর্লভ প্রথম সংস্করণ
  • মেসির অটোগ্রাফ নেওয়ায় চাকরি হারালেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
  • ১০০ বছর আগে যেমন ছিল যাত্রীবাহী প্রমোদতরীতে প্রথম বিশ্বভ্রমণ 

Most Read

1
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
ফিচার

বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

2
শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্পের ধারণাগত নকশা। ৮ দশমিক ০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি হবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ক্যাবল-স্টেইড সেতু। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

বিদেশি অর্থায়নে গতি পাচ্ছে শরীয়তপুর–চাঁদপুর সেতু প্রকল্প

3
অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?
বাংলাদেশ

অচলাবস্থা: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল কেন চালু হচ্ছে না?

4
কেওক্রাডং পাহাড় চূড়া থেকে দেখা যায় বম সম্প্রদায়ের দার্জিলিং পাড়া। ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

৩ বছর পর খুলল অন্যরকম নিসর্গ কেওক্রাডং; ট্রেকিং নয়, গাড়িতে চড়েই যাওয়া যাচ্ছে চূড়ায়

5
ছবি: আর্কাইভ ফটোস
আন্তর্জাতিক

ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি

6
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net