‘ডাব্বাওয়ালা’ নেটওয়ার্ক: শত বছর ধরে মুম্বাইবাসীর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন যারা

সকাল ৯টা বাজার ঠিক একটু আগে, মুম্বাইয়ের ঘনবসতিপূর্ণ আন্ধেরি উপশহরের একটি টিনশেড বাড়ির গেইট খুলে বেরিয়ে আসেন মিনীনাথ যাধব। হাতে একটি টিফিনবক্স।
প্রতিদিনকারমতো, আজও মিনীনাথের দিন শুরু হয়েছে আরও অনেক আগে—ঠিক ভোর ৪টায়। তখন থেকেই শুরু হয় তার দুধ ডেলিভারির কাজ। নিজের পাড়ায় টানা দুই ঘণ্টা ধরে ঘুরে ঘুরে দুধ পৌঁছে দেন বিভিন্ন বাসায়।
তবে সেই কাজ সেরে একটুও দম নেয়ার ফুরসত নেই মিনীনাথের। কারণ ঠিক সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় তার 'আসল' কাজ—লাঞ্চবক্স সংগ্রহ।
৩৭ বছর বয়সী মিনীনাথ গত ২৪ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। আন্ধেরির বিভিন্ন আবাসিক ভবন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে ২৩টি লাঞ্চবক্স সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর মুম্বাইয়ের ব্যস্ত লোকাল ট্রেনে চেপে দক্ষিণ দিকে রওনা হন—গন্তব্য লোয়ার পারেল, যেখানে দুপুর ১টার মধ্যে বিভিন্ন অফিসে কর্মরত মানুষদের হাতে তাকে পৌঁছে দিতে হয় আরও ৩৭টি লাঞ্চবক্স।
মিনীনাথ যাধব একা নন—মুম্বাইয়ের অলিগলিতে তার মতো হাজারো মানুষ প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি ছুটে বেড়ান হাতে লাঞ্চবক্স নিয়ে। মিনীনাথের মতো মানুষরাই মুম্বাইয়ের সেই বিখ্যাত 'ডাব্বাওয়ালা'।
চোখে না পড়ার মতোই সাধারণ, অথচ সময়নিষ্ঠ এবং দক্ষ এই কর্মীরা মাথায় পরে থাকেন সাদা 'গান্ধী টুপি', যা তাদের শহরের ব্যস্ত জনস্রোতের মধ্যেও আলাদা করে তোলে। সাদা টুপিওয়ালা মানুষগুলো প্রতিদিন মুম্বাই শহরের প্রায় এক লাখেরও বেশি কর্মজীবীকে ঘরে তৈরি রান্না খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের গতি যেখানে ট্র্যাফিকের হাতে জিম্মি, সেখানে ডাব্বাওয়ালারা সময়ের ওপর ভর করেই তৈরি করেছেন এক 'সময়ের বিজ্ঞান'।
মুম্বাই টিফিন বক্স সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামদাস কারওয়ান্দে বলেন, 'ভারতে 'ডাব্বা' মানে ধাতব খাবারের পাত্র, আর 'ওয়ালা' মানে যিনি সেই পাত্র পৌঁছে দেন। আমরা ডাব্বাওয়ালারা প্রতিদিন মানুষের বাড়ি থেকে খাবারের টিফিনগুলো সংগ্রহ করি, এবং তা সময়মতো পৌঁছে দিই তাদের অফিসে—যাতে দুপুরবেলা তারা ঘরের খাবার খেতে পারেন।'
১৮৯০ সাল থেকে মুম্বাইয়ে এই অভিনব সেবাটি চালু হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে মুম্বাই শহরের রূপ বদলেছে, প্রযুক্তি এসেছে হাতের মুঠোয়, কিন্তু ডাব্বাওয়ালাদের কাজের ধরন আজও রয়ে গেছে আগের মতোই শৃঙ্খলাপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য।

কারওয়ান্দে গর্বের সাথে বলেন, 'আমাদের সিস্টেম এতটাই নিখুঁত যে প্রতি ৬০ লাখ ডেলিভারিতে গড়ে মাত্র একটি ভুল হয়। আমাদের কাজের এই নিখুঁত ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি, এমনকি সিক্স সিগমা সার্টিফিকেশনও অর্জন করেছি।'
রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে মশলার গন্ধ। ৪৪ বছর বয়সী পুজা সাঙ্গভী তখন চুলার পাশে দাঁড়িয়ে। হাঁড়িতে রান্না করা খাবার চেখে দেখলেন, তারপর স্বাদ ঠিক রাখতে সামান্য লবণ বাড়িয়ে দিলেন। হাতে সময় খুব বেশি নেই—ঠিক সকাল ১০টার আগেই ডাব্বাওয়ালা মাহাদেব পাঙ্গরে এসে হাজির হবেন টিফিন সংগ্রহে।
তাড়াহুড়া করে একের পর টিফিন কৌটা ভরতে শুরু করলেন পুজা। তবুও পুজার কণ্ঠে একধরণের নিশ্চিন্ত আস্থা—'আমি গত সাত বছর ধরে এই সার্ভিস ব্যবহার করছি। এতবছরে একটিবারের জন্যও খাবার দেরিতে পৌঁছায়নি, সার্ভিস বন্ধ হয়নি।'
তবে এই আস্থা কেবল ডাব্বাওয়ালাদের দক্ষতার ফল নয়—গ্রাহকদের জন্যও রয়েছে কড়াকড়ি কিছু নিয়ম। সকাল ১০টার মধ্যে খাবার প্রস্তুত না থাকলে, পুরো সার্ভিস বিঘ্নিত হতে পারে। নিয়মানুযায়ী, এক মাসে যদি কেউ তিনবার দেরিতে টিফিন দেন, তবে সেই গ্রাহকের সার্ভিস স্থগিত হয়ে যায়।
ঘড়িতে তখন ৯টা বেজে ৫৫ মিনিট। ৪৬ বছর বয়সী মহাদেব পাঙ্গরে, যিনি ১৬ বছর বয়স থেকেই এই পেশায় যুক্ত, সাইকেলের ক্যারিয়ারে গুছিয়ে রাখা প্রায় ২০টি লাঞ্চবক্সসহ এসে দাঁড়ালেন পুজার বাড়ির নিচে। মুহূর্তেই সিঁড়ি বেয়ে উঠলেন দ্বিতীয় তলায়।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন পুজা, হাতে প্রস্তুত টিফিনবক্স, মুখে হাসি। কয়েক সেকেন্ডের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর, মহাদেব দ্রুত নেমে সাইকেলের দিকে এগিয়ে গেলেন আবার।
গন্তব্য—স্টেশনের প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনে সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া ছোট্ট, গ্রাফিতি আঁকা ব্রিজের নিচে।
তবে অন্যান্য খাবার সরবরাহ প্ল্যাটফর্মের মতো প্রযুক্তিনির্ভর নন ডাব্বাওয়ালারা। বরং এক শতাব্দীরও বেশি আগে তৈরি এক বিশেষ প্রতীকভিত্তিক কোড সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে তারা তাদের পুরো কার্যক্রম চালান। এই কোডের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানা যায়—কোন খাবার কোথা থেকে এসেছে, কোথায় যাচ্ছে, আর কোন ডাব্বাওয়ালা সেটি নিয়ে কাজ করছেন।
প্রতিটি টিফিন বা লাঞ্চবক্সের হাতবদল হয় তিন ধাপে। প্রথম ধাপে সদ্য রান্না করা খাবারের কৌটা সংগ্রহ করা হয় গ্রাহকের বাড়ি থেকে। এরপর ট্রেনে চড়ে দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যস্থলের নিকটবর্তী স্টেশনে। সেখান থেকে শেষ কর্মী খাবারটি হাতে তুলে দেন নির্দিষ্ট অফিস বা প্রতিষ্ঠানে।

দিন শেষে পুরো প্রক্রিয়াটি আবার উল্টো পথে সম্পন্ন হয়—এবার খালি টিফিনগুলো সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় গ্রাহকের বাসায়। নিরবচ্ছিন্নভাবে সময়ের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় দুই একজন অতিরিক্ত ডাব্বাওয়ালাও থাকেন, যারা যেকোনো বিলম্ব বা সমস্যা মোকাবিলায় দায়িত্ব নেন।
সাদা শার্ট, পায়জামা আর মাথায় টুপি পরে ৬০ বছর বয়সী কালুরাম পারিথে প্রতিদিন খেয়াল রাখেন—সব টিফিন ঠিকঠাক পৌঁছেছে কি না। তারপর সেগুলো একসঙ্গে বাঁধেন, যাতে সহজে বহন করা যায়।
একজন সহকর্মীর সহায়তায় তিনি প্রায় ২০টি টিফিন তুলে নেন ডান কাঁধে, বাকিগুলো ধরে রাখেন বাম হাতে। এরপর এগিয়ে যান মুম্বাইয়ের দাদার স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে, সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে উঠবেন দক্ষিণ মুম্বাইয়ের চার্চগেটের উদ্দেশে। এলাকাটিতে প্রচুর অফিস থাকায় সেখানে শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা ডাব্বাওয়ালারা একত্রিত হন।
প্রতিদিনের মতোই ট্রেন সময়মতো এসে পৌঁছায়। কালুরামের হাতে থাকে মাত্র ৪০ সেকেন্ড—ততক্ষণে তাকে উঠতে হবে লাগেজ কামরায়, যেখানে যেখানে উত্তরের বিভিন্ন স্টেশন থেকে আসা অন্যান্য ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে দেখা হয় তার।
টিফিনে ঠাসা ছোট সেই কামরার দরজার পাশে দাঁড়ান তিনি। তেমন নড়াচড়ার জায়গা না থাকলেও সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা জমিয়ে ট্রেনযাত্রার সময়টুকু বিশ্রাম ও পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার শক্তি জোগাড় করার সুযোগ হিসেবে লুফে নেয় তারা।
প্রায় বিশ মিনিট পর ট্রেন পৌঁছে যায় গন্তব্যে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই তৎপর হয়ে নিজেদের টিফিন তুলে নিয়ে পরবর্তী বাছাই কেন্দ্রে চলে যান।
চার্চগেট স্টেশনের সামনে প্রায় ৪০০ মিটারজুড়ে ফুটপাথে সারি সারি টিফিন সাজানো। সেখানে কাজ করেন প্রায় ৩০ জন ডাব্বাওয়ালা—টিফিনগুলো সাজাচ্ছেন, সাইকেলে তোলার প্রস্তুত নিচ্ছেন। পথচারী ও পর্যটকদের কৌতূহলী দৃষ্টির মাঝেই চলে তাদের কাজ।
৪৯ বছর বয়সী হনুমন্ত চিমাটে খাবার সরবরাহ করেন গাড়ি করে। তিনি বলেন, 'আমার কাছে ৩০টিরও বেশি টিফিনবক্স থাকে, বাইকে নেওয়া সম্ভব হয় না।'
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব টিফিন যথাসময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার পর হনুমন্ত তার খাবারের গাড়িটি একপাশে রেখে পাশের ফুটপাথ ধরে হাঁটেন। সকালে স্ত্রী যে রান্না করেছিলেন, সেটি নিয়ে পাশের ভবনে অপেক্ষমাণ তিন সহকর্মীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে দুপুরের খাবার সেরে নেন।

'আমরা প্রতিদিন একসঙ্গে বসে খাই,' বলেন হনুমন্ত, যিনি গত ২৫ বছর ধরে খাবার সরবরাহের কাজ করছেন। ডাব্বাওয়ালারা শুধু সহকর্মী নন, তারা একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানের সমান অংশীদারও। একই সঙ্গে তাদের রয়েছে অভিন্ন শিকড়, সংস্কৃতি, নৈতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় বিশ্বাস।
১৮৯০ সালে প্রথম ডাব্বাওয়ালা মহাদেও হাভাজি বাচ্চে, এক পারসি ব্যাংকারের অনুরোধে তার বাড়ি থেকে অফিসে খাবার পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছিলেন। আজকের ডাব্বাওয়ালাদের বেশির ভাগই পুনে জেলার গ্রামের মানুষ এবং হিন্দু ভক্ত সম্প্রদায় ভাকারি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
এই গোষ্ঠীর উপাস্য দেবতা ভিট্টল শিখিয়েছেন—অন্যকে খাবার দেওয়া এক মহৎ ধর্মকর্ম। যিনি অন্যকে আহার দেন, তিনিই যেন ঈশ্বরকে অর্পণ করেন। তাই অনেক ডাব্বাওয়ালার কাছে তাদের পেশা কেবল জীবিকা নয়, এক গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও বহন করে।
উত্তরে ছয়টি স্টেশন পেরিয়ে লোয়ার পারেল এলাকায় ফিরে যান মিনীনাথ যাদব—সকালের পথ ধরেই এবার শুরু করেন খালি টিফিন সংগ্রহ। নতুন নির্মিত দুই টাওয়ারের বিশাল ব্যবসাকেন্দ্র 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড সেন্টার'-এ গিয়ে তিনি তুলে নেন একাধিক ফাঁকা ডাব্বা।
এখানেই রয়েছে এভারসোর্স ক্যাপিটাল নামে একটি শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু বিনিয়োগ সংস্থা, যার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ৪৮ বছর বয়সী বিরাল রাঠোর গত ১৫ বছর ধরে নিয়মিত এই সেবা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'আমি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেছি, কখনও ওদের ব্যর্থ হতে দেখিনি। তাদের সেবাটি বেশ কার্যকর আর সাশ্রয়ী—মাসে মাত্র ১ হাজার ২০০ রুপি দেই। সবচেয়ে বড় সুবিধা, সকালে অফিস টাইমে দুপুরের খাবার নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব, তাই আমার স্ত্রী সময় নিয়ে বাসার খাবার তৈরি করে পাঠিয়ে দিতে পারেন।'
৩৫ বছর বয়সী সন্দীপ যাধব মুম্বাইয়ের লোয়ার প্যারেলের এক সাধারণ অফিসে প্রবেশ করে ৫৪ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট এজেন্ট চেতন ভিরার কাছ থেকে খালি লাঞ্চবক্স সংগ্রহ করেন। গত চার বছর ধরেই চেতন তার নিয়মিত গ্রাহক।
'দাবাওয়ালারা মুম্বাইয়ের একটা প্রতিষ্ঠান। ওরা খুবই বিনয়ী ও দায়িত্বশীল মানুষ, আর এ কারণেই সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছে,' বলেন চেতন। 'আমি ওদের ওপর পুরোপুরি ভরসা করি। এমনকি একবার আমি যখন বাড়িতে মানিব্যাগ ভুলে গিয়েছিলাম, তখন স্ত্রীকে বলেছিলাম সেটা খাবারের পাশে রেখে দিতে। জানতাম, খাবার ঠিকমতো পৌঁছাবে আর কেউ সেটা খুলেও দেখবে না।'
এদিকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মিনীনাথ ফিরে যান তার বাড়িতে—সমুদ্র থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে, আন্ধেরি জেলার সাগর খুটির নামের এক সাধারণ বসতিতে। এখানেই আরও অনেক ডাব্বাওয়ালা পরিবার নিয়ে বাস করেন।
মিনীনাথ তার স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকেন একটি ছোট ঘরে—প্রায় ১০ বর্গমিটারের মতো জায়গা, তাতে নেই কোনো শৌচাগার। মাসে তার ঘরভাড়াই ৯ হাজার রুপি। ডাব্বাওয়ালা হিসেবে পাওয়া ১৫ হাজার রুপি এবং দুধ বিলির কাজ থেকে আসা অতিরিক্ত ৫ হাজার রুপি দিয়েই তিনি সংসার চালান এবং পুনেতে থাকা তার পরিবারকে কিছু টাকা পাঠান।
'আমি ১৩ বছর বয়সে ডাব্বাওয়ালার কাজ শুরু করি, সম্ভবত অবসরের আগ পর্যন্ত এটাই করে যাব,' বলেন মিনীনাথ। তার মতো অনেকেই ছোটবেলায় পরিবারের জন্য উপার্জন করতে মুম্বাইয়ে আসেন এবং ডাব্বাওয়ালা সম্প্রদায় তাদের আপন করে নেয়।
এই পেশার শৃঙ্খলা, সংগঠন ও নিষ্ঠা তাদের কার্যত নিখুঁত কার্যপ্রণালিকে পরিণত করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও সরবরাহব্যবস্থা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর গবেষণার বিষয়ে। তাদের মডেল প্রমাণ করেছে—ন্যূনতম সম্পদ, অসাধারণ সমন্বয়, দলগত পরিশ্রম এবং নেতৃত্বহীন কাঠামো দিয়েও একটি 'লাস্ট মাইল ডেলিভারি নেটওয়ার্ক' গড়ে তোলা সম্ভব—যা এতটাই কার্যকর, সাশ্রয়ী ও টেকসই যে, এখন পর্যন্ত কেউ সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
- অনুবাদ: আয়েশা হুমায়রা ওয়ারেসা