ভয়েস অব আমেরিকার পর এবার এনপিআর ও পিবিএস বন্ধের আদেশ ট্রাম্পের

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) ও পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের (পিবিএস) সরকারি অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে সই করার মধ্য দিয়ে তিনি এ আদেশ দেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ- এই সংবাদমাধ্যমগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।
ট্রাম্পের অন্যান্য নির্বাহী আদেশের মতো এই আদেশও আইনি দিক থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এনপিআর ও পিবিএস কোন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা করদাতাদের সামনে বর্তমান ঘটনাবলীর ন্যায্য, সঠিক ও নিরপেক্ষ উপস্থাপন করে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প সম্প্রতি এনপিআর ও পিবিএস-এর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, 'রিপাবলিকানদের উচিত তাদের অর্থায়ন বন্ধ করা এবং সব সম্পর্ক ছিন্ন করা। এ বামপন্থী ''দানবগুলো"খুব খারাপভাবে আমাদের দেশের ক্ষতি করছে।'
নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প সিপিবি এবং সরকারি দপ্তরগুলোকে এনপিআর ও পিবিএস-এ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ করতে বলেন। আদেশে তিনি বলেন, সিপিবি বোর্ড ও সব নির্বাহী সংস্থা যেন এনপিআর এবং পিবিএসকে অর্থ দেওয়া বন্ধ করে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এনপিআর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ক্যাথরিন মাহের সংবাদ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এনপিআরের অবস্থানকে সমর্থন করেন এবং তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'এখন বিভিন্ন বিষয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে বহু খবর প্রচার হচ্ছে, তাই আমি মনে করি এ মুহূর্তে পাবলিক মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক।'
তবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে এনপিআর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে গত মার্চের শেষ দিকে এনপিআর ও পিবিএস-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে শুনানিতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সেখানে তাদের পাবলিক ব্রডকাস্টিংয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
এর আগে ট্রাম্পের আদেশে ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) ১ হাজার ৩০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পরবর্তীতে এক হাজার সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে সময় হোয়াইট হাউস এই সংবাদমাধ্যমকে 'অ্যান্টি-ট্রাম্প' (ট্রাম্পবিরোধী) এবং 'চরমপন্থি' বলে অভিযুক্ত করেছিল।
পরে ভয়েস অব আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত অন্যান্য গণমাধ্যম পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন এক মার্কিন বিচারক। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে এ গণমাধ্যমগুলোর কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও অর্থায়নের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন।