গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৪৩৬, বেশিরভাগই নারী ও শিশু

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৬ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৮৩ শিশু, ৯৪ নারী, ৩৪ বৃদ্ধ ও ১২৫ পুরুষ রয়েছেন।
১৮ মার্চ হামলা শুরুর পর অন্তত ৬৭৮ জন আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া, বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত, আজ ভোরের আগে ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির পর গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিমান হামলা, যেখানে নারী ও শিশু নিহতের সংখ্যাই বেশি।
হামলার ঘটনায় হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সামরিক বাহিনীকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
ইসরায়েলের দাবি, হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৯,৫৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১২,৭১৯ জন আহত হয়েছেন। অর্থাৎ, গাজার প্রতি ৫০ জনের মধ্যে একজন নিহত এবং প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন আহত।
তবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা নিখোঁজ হাজারো ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।