‘বি কোয়ায়েট, স্মল ম্যান’- পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন মাস্ক

মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোসওয়াফ শিকোরস্কির সঙ্গে এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। খবর বিবিসি'র।
রোববার (৯ মার্চ) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ স্টারলিংক স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা বাদানুবাদ হয়।
মাস্ক তার এক পোস্টে ইউক্রেনে স্টারলিংক সেবা বন্ধ করার ইঙ্গিত দেন। এই পরিষেবা বন্ধ হলে অন্য বিকল্প খোঁজা হবে বলে পাল্টা মন্তব্য করেন শিকোরস্কি।
রুবিও দ্রুতই শিকোরস্কির বক্তব্য নাকচ করেন এবং তাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরামর্শ দেন।
এ নিয়ে এক্সে একাধিক পোস্টে বিতর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে মাস্ক শিকোরস্কিকে 'ছোট মানুষ' বলে মন্তব্য করেন।
স্টারলিংক সিস্টেম স্পেসএক্সের একটি প্রকল্প। বিশ্বের দুর্গম ও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য কাজ করছে এটি।
রোববার মাস্ক এক পোস্টে স্টারলিংককে 'ইউক্রেনীয় বাহিনীর মেরুদণ্ড' বলে উল্লেখ করলে বিতর্কটি শুরু হয়।
তিনি লিখেছিলেন, 'আমি যদি এটি বন্ধ করে দিই, তাদের সামনের সারির প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়বে।'
শিকোরস্কি এই পোস্টের জবাবে জানান, স্টারলিংকের জন্য পোল্যান্ডই অর্থ দিচ্ছে।
তিনি লেখেন, 'পোলিশ ডিজিটাইজেশন মন্ত্রণালয় প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটি ডলার ব্যয়ে ইউক্রেনের জন্য স্টারলিংকের খরচ বহন করছে। আগ্রাসনের শিকার দেশকে হুমকি দেওয়ার নৈতিকতার কথা বাদ দিলেও, স্পেসএক্স অবিশ্বস্ত প্রমাণিত হলে আমাদের বিকল্প খুঁজতে হবে।'
এই মন্তব্যে রুবিও জড়িয়ে পড়েন এবং শিকোরস্কির মন্তব্যকে 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দেন। তিনি লেখেন, 'ইউক্রেনের স্টারলিংক পরিষেবা বন্ধের হুমকি দেয়নি কেউ।'
তিনি আরও লেখেন, 'আর ধন্যবাদ জানান। কারণ স্টারলিংক না থাকলে ইউক্রেন বহু আগেই এই যুদ্ধ হারত এবং রাশিয়ান বাহিনী এখন পোল্যান্ডের সীমান্তে থাকত।'
পরে মাস্ক শিকোরস্কির উদ্দেশে লেখেন, 'চুপ থাকুন, ছোট মানুষ। আপনি মোট খরচের খুব সামান্য অংশ পরিশোধ করেন। আর স্টারলিংকের কোনো বিকল্প নেই।'
স্টারলিংক টার্মিনাল ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
বর্তমানে ইউক্রেনে কয়েক হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৫০০টি সরবরাহ করেছে।