শ্রীলঙ্কায় যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ৬ হাতির মৃত্যু

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের কাছে বৃহস্পতিবার ভোরে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন হাতির পালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। যাত্রীদের কেউ আহত না হলেও রাজধানী কলম্বোর পূর্বে হাবারানায় দুর্ঘটনায় ছয়টি হাতি মারা গেছে। খবর বিবিসি'র।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত দুটি হাতির চিকিৎসা চলছে। এটিকে দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যপ্রাণী দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে এএফপি।
শ্রীলঙ্কায় হাতির পালের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। দেশটি বিশ্বে মানুষ-হাতি দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানির তালিকায় অন্যতম।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ ধরনের বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ ও প্রায় ৫০০ হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ২০টি হাতি মারা গেছে।
বন উজাড় ও বাসস্থান সংকটের কারণে হাতিরা দিন দিন জনবসতিতে ঢুকে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেললাইনের আশপাশে হাতির চলাচল বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঠেকাতে ট্রেন চালকদের ধীরগতিতে চলা এবং হর্ন বাজিয়ে হাতিদের সতর্ক করার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এর আগেও হাবারানায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে একই এলাকায় একটি ট্রেনের ধাক্কায় এক গর্ভবতী হাতি ও সেটির দুই শাবকের মৃত্যু হয়। হাতিগুলো ভোরে রেললাইন পার হওয়া একটি পালের অংশ ছিল।
গত অক্টোবরে হাবারানা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মিনেরিয়ায় আরেকটি ট্রেন হাতির পালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে দুটি হাতি মারা যায় এবং একটি আহত হয়।
শ্রীলঙ্কায় আনুমানিক ৭ হাজার বন্য হাতি রয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে হাতি আইনের মাধ্যমে প্রাণীগুলো সুরক্ষিত। দেশটিতে হাতি হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে।