জর্জিয়ার নির্বাচন কমিশনারের মুখে কালি ছুড়ে মারলেন বিরোধী দলের ক্ষুব্ধ সদস্য

জর্জিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন প্রধানের মুখে কালি ছোড়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দেশটির ২৬ অক্টোবরের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত করা নিয়ে চলমান বৈঠকে এমন ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানী তিফলিসিতে নির্বাচন কমিশনের ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। ওই সময়ে কমিশন ঘোষণা করে, শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম ৫৩.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে।
বিরোধী দল এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, ভোটে জালিয়াতি হয়েছে। তবে, জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে বিরোধী দলের সদস্য ডেভিড কিরতাদজে নির্বাচন কমিশন প্রধান গিয়র্গি কালান্দারিশভিলির মুখে কালি ছুড়ে মারেন।
বৈঠকে কিরতাদজে অভিযোগ করেন, নির্বাচনের ফলাফল ভোটারদের "প্রকৃত মতামত" প্রকাশ করে না।
কালান্দারিশভিলি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোট কারচুপির কোনো প্রমাণ নেই।
বৈঠকের পর তাকে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় দেখা যায়। তিনি বলেন, "নির্বাচনে জালিয়াতির প্রমাণ না থাকায় এই ধরনের আক্রমণ হচ্ছে।"
ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের পরিবেশকে "উত্তেজনাপূর্ণ" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা ঘুষ, দ্বৈত ভোট এবং সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কথা জানিয়েছেন।
অনেকেই এই নির্বাচনকে জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তবে বিতর্কিত "বিদেশি প্রভাব আইন" পাসের পর ইইউ দেশটির সদস্যপদ আবেদন স্থগিত করেছে।
জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে মস্কোপন্থী হওয়ার পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদীআচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই দলটি ধনী ব্যবসায়ী বিজদিনা ইভানিশভিলি প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি রাশিয়ায় তার সম্পদ গড়েছেন।
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি, যিনি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন, বলেছেন, দেশটি মস্কোর চাপে ইইউ-এ যোগদানের পথে বাধার মুখে পড়েছে।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ-এর কাছ থেকে বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন চেয়েছেন।
ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস নির্বাচন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তবে, ক্রেমলিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।