Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 18, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 18, 2025
'৪৩-এর দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ, আর তখন বাংলার গভর্নর ছিলেন সুজানার দাদা

আন্তর্জাতিক

কবিতা পুরি; বিবিসি
19 June, 2024, 09:50 am
Last modified: 19 June, 2024, 03:41 pm

Related News

  • পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর
  • ‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর
  • ‘ন্যাশনাল গার্ড’ মোতায়েন ইস্যুতে মামলা করায় ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে গ্রেপ্তার করা উচিত: ট্রাম্প
  • মূল্যস্ফীতি বাজেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কমবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
  • কাল থেকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা, সংগ্রহ করবেন যেভাবে

'৪৩-এর দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ, আর তখন বাংলার গভর্নর ছিলেন সুজানার দাদা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যতটা না ক্ষতি করেছিল, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছিল চার্চিলের ‘ত্যাগ বা ধ্বংস’ নীতি । সেই নীতিকেই প্রয়োগ করেন বাংলার গভর্নর জন হারবার্ট।
কবিতা পুরি; বিবিসি
19 June, 2024, 09:50 am
Last modified: 19 June, 2024, 03:41 pm
ছবি: বিবিসি

'যা হয়েছে, তার জন্য আমি ভীষণ লজ্জিত', বলছিলেন সুজানা হারবার্ট।

১৯৪৩ সালে অখণ্ড বাংলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে দেখা দেয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ যা পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। দুর্ভিক্ষে পূর্ব ভারতের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র পক্ষের বেসামরিক প্রাণহানির সবচেয়ে করুণ ঘটনাগুলোর একটি। সে সময় অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের বাংলার গভর্নর ছিলেন সুজানার দাদা স্যার জন হারবার্ট।

সুজানার সাথে দেখা হলে ১৯৪০ সালের তার দাদার একটি পুরোনো ছবি দেখান তিনি । ছবিটি বড়োদিনে বাংলার গভর্নরের বাসভবনে। সুন্দর সুন্দর জামা পরা সবাই ক্যামেরার দিকে চোখ রেখে সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন।

১৯৪০ সালের এই ছবিতে সাদা পোশাকের ছেলেটি সুজানার বাবা। ছবি কৃতজ্ঞতা: সুজানা হারবার্ট

সবার সামনের সারিতে রয়েছেন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ঔপনিবেশিক ব্যক্তিত্ব ভাইসরয় লিনলিথগো এবং তার দাদা বাংলার গভর্নর স্যার জন হারবার্ট। তাদের পাশেই বসে আছে সাদা শার্ট, হাফপ্যান্ট, হাঁটু পর্যন্ত মোজা এবং চকচকে জুতো পরা একটি ছোট্ট ছেলে। এই ছোট্ট ছেলেটিই সুজানার বাবা।

সুজানার বাবা তাকে তার ভারতে বেড়ে ওঠার কিছু গল্প বলেছিলেন, যেমন কীভাবে বড়োদিনের দিন ফাদার হাতিতে চড়ে এসেছিলেন, তবে এর থেকে বেশি কিছু নয়। তার দাদা সম্বন্ধে খুব কমই বলেছেন তিনি। ১৯৪৩ সালের শেষের দিকে তার দাদার মৃত্যু ঘটে।

১৯৪৩ সালে যে দুর্ভিক্ষের সাক্ষী হয়েছিল বাংলা, তার কারণগুলো ছিল জটিল। জন হারবার্ট ছিলেন বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঔপনিবেশিক ব্যক্তিত্ব। তিনি দিল্লিতে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি করতেন, সেই কর্মকর্তারা আবার জবাবদিহি করতেন লন্ডনে তাদের ঊর্ধ্বতনদের কাছে।

ইতিহাসবিদ এবং হাংরি বেঙ্গলের লেখক ড. জনম মুখোপাধ্যায় বলেন, 'হারবার্ট ছিলেন দুর্ভিক্ষের সাথে সরাসরি যুক্ত ঔপনিবেশিক কর্মকর্তা, কারণ তিনি তখন বাংলার প্রধান নির্বাহী ছিলেন।'

১৯৪২ সালের ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চল জলের তোড়ে ভেসে যায়, শীতের ফসল অর্থাৎ আমন ধানের ফলন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত চলা এ দুর্ভিক্ষের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যতটা না ক্ষতি করেছিল, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করেছিল চার্চিলের 'ত্যাগ বা ধ্বংস' নীতি । সেই নীতিকেই গ্রহণ ও প্রয়োগ করেন বাংলার গভর্নর জন হারবার্ট।

১৯৪২ সালে যখন জাপানিদের হাতে বার্মার পতন হয়, কলকাতা তথা বাংলা, বিশেষ করে পূর্ব বাংলা হয়ে ওঠে জাপানি সীমান্তের সবচেয়ে কাছের ইংরেজ বড় ঘাঁটি। জাপানি সেনাবাহিনী বার্মা পেরিয়ে বাংলা আক্রমণ করলে জাপানি সৈন্যরা যাতে খাবার না পায়, সে কারণে ৪০ হাজার টন চাল বাংলার গ্রামাঞ্চল থেকে সরিয়ে আনা হয়।

তবে, এই নীতিটি ইতোমধ্যে ভঙ্গুর স্থানীয় অর্থনীতির জন্য আরও বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শুধু চালই নয়, বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেন যাতায়াতের সুবিধাও না পায় সেজন্য নৌকাও কেড়ে নেয় ইংরেজরা। বার্মার সাথে সীমান্তবর্তী পুরো অঞ্চলজুড়ে যত নৌকা ছিল সব বাজেয়াপ্ত করে আগুন ধরিয়ে দেয় ইংরেজরা। আর এজন্য সবচেয়ে বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পূর্ব বাংলা। বাংলার পুরো অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থাই ছিল নৌপথের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় ৬৫ হাজার নৌকা কেড়ে নিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় এসময়, ফলে পুরো বাংলার যাতায়াতব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে।

জেলেরা সমুদ্রে যেতে পারত না, কৃষকরা তাদের জমির উজানে পৌঁছাতে পারত না এবং কারিগররা তাদের পণ্য বাজারে আনতে পারত না। সবচেয়ে বড় কথা, চালের পরিবহণ ছিল বন্ধ।

কলকাতায় মিত্রশক্তির লাখ লাখ সৈন্যের খাবারের চাহিদা খাদ্য সরবরাহের ওপরও চাপ সৃষ্টি করে। জাপানিদের হাতে পড়ার পর বার্মা থেকে বাংলায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে চাল মজুদ করা হতো, তবে তা শুধু মুনাফা লাভের জন্য। চালের দাম ছিল মানুষের সাধ্যের বাইরে। চালের জোগান যত কমতে থাকল, ততই বাজারে তেল, মাছ আর কাপড়ের দাম বাড়তে থাকল। অনাহারে মারা গেল কয়েক লক্ষ লোক, বাড়ি ছেড়ে পালাল আরও কয়েক লক্ষ।

যুদ্ধের খরচ মেটাতে ওই সময় দিল্লির ঔপনিবেশিক সরকার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে টাকা ছাপাতে থাকে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছায় চরমে।

যুদ্ধের সময় মন্ত্রীসভা এবং প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের কাছে খাদ্য আমদানির জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও তা গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয়া হয়নি, প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

অথচ আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, এতবছর পর কেন এসে বাংলার গভর্নরের নাতনি সুজানার মনে তার দাদার কারণে লজ্জাবোধ এলো!

বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন সুজানা। তিনি বলেন, 'আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে সংযোগ থাকা আভিজাত্যের ব্যাপার ছিল। দাদার সেসময়কার পুরোনো কাপড়গুলো নিয়ে পরতেন সুজানা, সেখানে 'মেইড ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া' লেখা সিল্কের একটা স্কার্ফও ছিল।

সুজানা বলেন, 'এখন যখন আমি আলমারির ভেতরে কাপড়গুলো দেখি, তখন আঁতকে উঠি এবং ভাবি কেন এগুলো পরতে চাইব? 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়া' লেখা কাপড় পরা এখন আর উপযুক্ত বলে মনে হয় না আমার।'

ছবি: হারবার্ট পরিবার

সুজানা তার দাদার জীবন সম্পর্কে জানতে এবং সে সময় ব্রিটিশ ভারতে আসলে কী ঘটেছিল তা বুঝতে এখন বেশ আগ্রহী। 

তিনি ওয়েলসে তাদের পারিবারিক বাড়িতে রাখা হারবার্ট আর্কাইভে রাখা তার দাদা-দাদির সকল কাগজপত্র ঘেঁটেঘেঁটে দেখছেন এবং বাংলার দুর্ভিক্ষ সম্পর্কিত যা-ই পাচ্ছেন, তা পড়ছেন।

তিনি জানান, তার দাদার পুরোনো সকল কাগজপত্র একটি তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত বিশেষ কক্ষে রাখা আছে এবং একজন সংরক্ষণাগারবিদ প্রতি মাসে একবার এসে এগুলো ঠিক আছে কিনা তা পরিদর্শন করে যান।

সুজানা বলেন, 'এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আমার দাদা যে নীতিগুলো প্রয়োগ করেছিলেন এবং শুরু করেছিলেন সেগুলো দুর্ভিক্ষের মাত্রা এবং প্রভাব ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছিল। তার দক্ষতা ও সম্মান দুটো থাকলেও তাকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছয় কোটি মানুষের জীবন পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া উচিত হয়নি।'

পারিবারিক সংরক্ষণাগারে সুজানা তার দাদি লেডি মেরির কাছে লেখা একটি চিঠি পেয়েছিলেন, যেখানে লেখা ১৯৩৯ সালে তার স্বামীকে গভর্নরের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

ছবি: হারবার্ট পরিবার

গভর্নর পদের ভালো-মন্দ দিকগুলো উল্লেখ করা ছিল চিঠিতে। হারবার্ট স্পষ্টতই যেতে চাননি তবে লিখেছিলেন, ওপরমহল থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, তিনি তা মেনে নেবেন।

সুজানা বলেন, 'চিঠিগুলো পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল, আমি যদি সে সময়ে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে নিশ্চিত আমার দাদাকে বলতাম, দয়া করে ভারতে যাবেন না। আপনি সেখানে তাদের ভালো নয়, ক্ষতি করবেন।'

কয়েক মাস ধরে আমি সুজানার তার পরিবারিক ইতিহাসের অনুসন্ধানের যাত্রা পর্যবেক্ষণ করছি। তার মনে তার দাদাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন।

ইতিহাসবিদ ড. জনম মুখোপাধ্যায় সাথে দেখা করতে উদগ্রীব হয়ে ছিলেন সুজানা, অবশেষে গত জুনে তাদের সামনাসামনি দেখা হয়। ড. জনম স্বীকার করেছেন যে তিনি কখনই ভাবেননি জন হারবার্টের নাতনির সাথে তার দেখা হবে।

সুজানা তার কাছে জানতে চান, তার দাদা, যিনি কিনা একজন প্রাদেশিক সাংসদ এবং সরকারি হুইপ ছিলেন, যার ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে খুব সামান্যই অভিজ্ঞতা ছিল, তাকেই কেন বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো!

ড. জনম বলেন, 'এটি উপনিবেশবাদের অংশ এবং ব্রিটিশদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের প্রচেষ্টা। ঔপনিবেশিক অভিজ্ঞতা, ভাষাগত দক্ষতা এবং ব্রিটেনের বাইরে অন্য কোনো দেশের অভিজ্ঞতা না থাকলেও, একজন ব্রিটিশ সাংসদ কলকাতায় গিয়ে গভর্নর হতেই পারেন। উপমহাদেশের জনগণের ব্যাপারে কিছু না জানলেও, তাদের ওপর সিদ্ধান্ত নেয়া ব্রিটিশদের ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্বকেই প্রমাণ করে।' 

বাংলায় নির্বাচিত ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে হারবার্ট খুব একটা জনপ্রিয় ছিলেন না, এমনকি ভাইসরয় লিনলিথগোসহ দিল্লির উর্ধ্বতনরাও তার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। লিনলিথগো তাকে ভারতের দুর্বলতম গভর্নর বলে অভিহিত করেছিলেন।

ছবি: গেটি ইমেজেস

ড. জনম জানান, তারা হারবার্টকে প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না বিপরীতে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে।

জনম এবং সুজানার দুইজনের বাবা-ই মারা গেছেন, যাদের বাল্যকাল কেটেছে কলকাতাতে । সুজানার কাছে অন্তত তার বাবার একটা ছবি আছে, জনমের তা-ও নেই।

এরপর ড. জনম এমন কিছু বললেন, যা আমি আশা করিনি।

'আমার দাদাও ঔপনিবেশিক পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতেন। সুতরাং তিনিও নানাভাবে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সুতরাং আমাদের দুজনেরই পারিবারিক ইতিহাস খুঁজে বেড়ানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে', বলেন ড. জনম।

দুর্ভিক্ষে বাংলার কমপক্ষে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। অথচ বিশ্বের কোথাও তাদের স্মরণে কোনো স্মৃতিসৌধ কিংবা ফলক না থাকলেও আছে সুজানার দাদার জন্য।

সুজানা বলেন, 'আমরা যে গির্জায় উপাসনা করি সেখানে তাকে সম্মান জানিয়ে একটি ফলক রয়েছে। তার কোনো স্থায়ী কবর না থাকায় ফলকটি বানানো হয়েছে।'

তবে তার দাদার দেহাবশেষ কলকাতার কোথায় আছে জানেন না তিনি। সুজানা তার দাদার অনেক ব্যর্থতা আছে স্বীকার করলেও, তাকে যথেষ্ট সম্মান দেন।

সুজানা বলেন, 'ইতিহাস সম্পর্কে আমরা যা জানি বা শুনি, বাস্তবে আসলে তা এর থেকেও জটিল। আমি এই ধারণাটা সহজে মেনে নিতে পারলেও, আমার দাদা জন হারবার্ট যে অসম্মানজনক কাজ করে গেছেন তা মেনে নিতে আমার কষ্ট হয়।'

ড. জনমের অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। 'আমি উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নই। আমি ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর দিকে বেশি মনোনিবেশ করি কারণ উদ্দেশ্যের আড়ালে ভিন্ন কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে', যোগ করেন তিনি।

ড. জনম মুখোপাধ্যায় (বামে) ও সুজানা হারবার্ট

আশি বছর পরেও এই পুরো ব্যাপারটি জটিল ও আবেগময়। আমি ভাবছি যে সুজানা, কয়েক মাসের অনুসন্ধানের পরও তার অনুভূতি বর্ণনা করার জন্য 'লজ্জা' শব্দটিকেই উপযুক্ত বলে মনে করেন কিনা।

সুজানা জানান, তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি আবেগ-অনুভূতির আধিক্য থেকে আমি 'লজ্জা' শব্দটি বেশি ব্যবহার করেছি। কিন্তু এটা শুধু আমার দায়বদ্ধতা এবং চিন্তার বিষয় নয়।'

সুজানার মতে, শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ নয় বরং তার এ প্রচেষ্টা ব্রিটেনের ইতিহাস কীভাবে বর্তমানের রূপ দিয়েছে তা বুঝতে সাহায্য করবে।

ড. জনমও একমত এব্যাপারে। তিনি বলেন, 'একজন ঔপনিবেশিক কর্মকর্তার বংশধর হিসেবে আমার মনে হয় না প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের কৃতকর্মের লজ্জা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। এটা আমাদের নয়,  বরং ব্রিটেনের লজ্জা।'

সুজানা তার পরিবারের ইতিহাস বোঝার এবং জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার অনুসন্ধান তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগ করে নিতে চান, তবে তারা এটিকে কীভাবে গ্রহণ করবে ও প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। 


অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন

Related Topics

টপ নিউজ

পঞ্চাশের আকাল / বাংলায় দুর্ভিক্ষ / ১৯৪৩ / গভর্নর / জন হারবার্ট / সুজানা হারবার্ট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • যুদ্ধবিরতি নয়, তারচেয়ে ‘অনেক বড় কারণে’ জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে এসেছি: ট্রাম্প
  • টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার
  • ‘যুদ্ধবিরতির চেয়েও ভালো কিছু’—ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে কী বোঝাতে চাইলেন?
  • ইরানে হামলার মুখে আলোচনায় ইসরায়েলের গোপন পারমাণবিক অস্ত্রাগার
  • সংসদে নারী আসন ১০০ করতে ঐকমত্য, তবে সরাসরি নির্বাচনে নারাজ বিএনপি
  • ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে ইরান

Related News

  • পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর
  • ‘আমার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’: দুবাইতে মেয়ের ফ্ল্যাট নিয়ে জয়ের অভিযোগের জবাবে গভর্নর
  • ‘ন্যাশনাল গার্ড’ মোতায়েন ইস্যুতে মামলা করায় ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে গ্রেপ্তার করা উচিত: ট্রাম্প
  • মূল্যস্ফীতি বাজেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কমবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
  • কাল থেকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা, সংগ্রহ করবেন যেভাবে

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি নয়, তারচেয়ে ‘অনেক বড় কারণে’ জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে এসেছি: ট্রাম্প

2
আন্তর্জাতিক

টানা ব্যবহারে ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার

3
আন্তর্জাতিক

‘যুদ্ধবিরতির চেয়েও ভালো কিছু’—ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে কী বোঝাতে চাইলেন?

4
মতামত

ইরানে হামলার মুখে আলোচনায় ইসরায়েলের গোপন পারমাণবিক অস্ত্রাগার

5
বাংলাদেশ

সংসদে নারী আসন ১০০ করতে ঐকমত্য, তবে সরাসরি নির্বাচনে নারাজ বিএনপি

6
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে ইরান

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net