যৌন নিপীড়নের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, ৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নব্বইয়ের দশকে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে জিন ক্যারল নামক এক ম্যাগাজিন কলামিস্টকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতের জুরি বোর্ড। মঙ্গলবার এ মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে আদালত। খবর বিবিসির।
সেই সঙ্গে লেখিকা জিন ক্যারলের আনা অভিযোগগুলোকে 'প্রতারণা ও মিথ্যা' বলে আখ্যা দিয়ে তাকে মানহানির জন্যও ট্রাম্পকে দায়ী করেছে জুরি।
ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারীর সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড মঙ্গলবার তিন ঘণ্টারও কম সময়ের আলাপ-আলোচনার পর তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
এদিকে রায়ের পর জিন ক্যারল এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, "অবশেষে আজ বিশ্ববাসী সত্যিটা জানতে পারল। এই জয় শুধু আমার নয়, বরং ওই সকল নারীর যাদের কথা লোকে বিশ্বাস করেনি বলে তাদের ভুগতে হয়েছে।"
ট্রাম্পের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ট্রাম্প।
যেহেতু মামলার ট্রায়াল ফৌজদারি আদালতে না হয়ে দেওয়ানী আদালতে হয়েছিল, তাই ট্রাম্পকে যৌন নিপীড়নের জন্য অপরাধী হিসাবে রেজিস্টার করতে হবে না।
এদিকে জিন ক্যারলের আনা সকল অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে দুই সপ্তাহের শুনানিতেও অংশ নেননি তিনি।
রায় ঘোষণার পর ক্যারল নিজের আইনজীবীদের সাথে হাত মেলান এবং তাকে হাসিমুখে দেখা যায়। ট্রাম্পের আইনজীবী জো ট্যাকোপিনা ক্যারলের সঙ্গে করমর্দন করে তাকে বলেন, "অভিনন্দন এবং গুড লাক"।
বাদীর আইনজীবী রবার্টা ক্যাপলান এক বিবৃতিতে বলেন: "এটি শুধুমাত্র জিন ক্যারলের জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য এবং লড়াই করে টিকে থাকা সবার জন্য একটি বিজয়।"
রায়ের পর ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বড় বড় ক্যাপিটাল লেটারে লেখেন- "আমার কোনো ধারণাই নেই এই নারী কে। এই রায় অপমানজনক- আমার বিরুদ্ধে চলতে থাকা ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।"
জিন ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও এনেছিলেন। যৌন নিপীড়ণের জন্য ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করলেও, ধর্ষণের অভিযোগে তাকে দায়ী করেনি জুরি। এটি করতে চাইলে জুরিকে প্রমাণ দিতে হবে যে ট্রাম্প ক্যারলের সঙ্গে অসম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।