কাতারএনার্জিকে ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ, বাকি ৩২ মিলিয়ন মেটানো হবে কালকের মধ্যে

বাংলাদেশ কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কাতারএনার্জি এলএনজিকে ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এলএনজি আমদানির বকেয়া কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ মিলিয়ন ডলারে, যা আগে ছিল ৩৭ মিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (অর্থ) এ কে এম মিজানুর রহমান।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, '৩৭ মিলিয়ন ডলারের বকেয়ার মধ্যে আজ কাতারএনার্জি এলএনজিকে ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। বাকি ৩২ মিলিয়ন ডলার আগামীকাল পরিশোধ করা হবে।'
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, এই ৩২ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে জেদ্দাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি)।
চলতি ক্যালেন্ডার বছরের জ্বালানি আমদানি বিল পরিশোধে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি রয়েছে।
এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, ২৩ এপ্রিলের (বুধবারের) মধ্যে কাতারএনার্জি এলএনজির কাছে পুরো ৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে।
তিনি বলেন, 'গত আট মাসে পরিশোধের গতি অনেক বেড়েছে। আমরা এপ্রিলের মধ্যেই সব এলএনজি আমদানির বিল পরিশোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
তিনি আরও জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় ধারাবাহিকভাবে ডলার সরবরাহ করায় বকেয়া পরিশোধ অনেক সহজ হয়েছে। এ কারণে দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি আমদানির বকেয়া ৩১৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলারে।
২১ এপ্রিল পর্যন্ত এলএনজি আমদানির মোট বকেয়া ৬৭ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৫ আগস্ট এই পরিমাণ ছিল ৩১৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার।
এই বকেয়ার মধ্যে কাতারএনার্জি এলএনজির পাওনা ৩৭ মিলিয়ন ডলার এবং ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডের (পূর্বে ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল) পাওনা ৩০ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার।
পেট্রোবাংলার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির জন্য প্রকৃত আমদানি ব্যয় ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
২০১৮ সালে কাতারএনার্জি এলএনজি বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি শুরু করে। ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তির আওতায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ১১৪ ডলারে প্রতি বছর ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতিটি কার্গোর ধারণক্ষমতা ৩২ লাখ এমএমবিটিইউ এবং মোট ৪০টি কার্গো সরবরাহ করা হবে।