Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
December 20, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, DECEMBER 20, 2025
বর্তমান সংকট কেন ১৯৭০ দশকের জ্বালানি সংকটের কথা মনে করিয়ে দেয়!

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
20 July, 2022, 10:15 pm
Last modified: 21 July, 2022, 01:21 pm

Related News

  • নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও যেভাবে রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত
  • যুক্তরাষ্ট্র-ভারত 'তেলযুদ্ধে' জড়ালে চীনের লাভ যেভাবে
  • ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনার অভিযোগে ৬ ভারতীয় কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
  • খরচ বাড়ার মাঝে টিকে থাকার পথ খুঁজে বের করছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো
  • ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণে তেলের দাম বাড়ছে

বর্তমান সংকট কেন ১৯৭০ দশকের জ্বালানি সংকটের কথা মনে করিয়ে দেয়!

১৯৭৩ সালে আরব বিশ্ব তেল নিষেধাজ্ঞা শুরু করার পর জ্বালানি বিপর্যয় দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো। প্রায় অর্ধশত বছর পরে করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে অতীতের কথা।
টিবিএস ডেস্ক
20 July, 2022, 10:15 pm
Last modified: 21 July, 2022, 01:21 pm
ছবি: হিস্টোরি ডট কম

বাংলাদেশের অনেক স্থানেই গাড়ির জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে চালকদের দস্তুরমতো লাইনে দাঁড়াতে হয়। অনেক পেট্রোল পাম্পেই দেখা যায়, দীর্ঘ সারিতে গাড়ির ভেতরে মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ট্যাংক পূর্ণ করার জন্য বসে আছেন চালকেরা।

বিশ্ব এ মুহূর্তে জ্বালানি সংকটে ভুগছে। বিশেষত রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করার পর থেকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম হুহু করে বেড়ে গিয়েছে। এতে যেমন উন্নত পশ্চিমা বিশ্ব ভুগছে, তেমনিভাবে রেহাই পাচ্ছেন না উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ মানুষেরা।

জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। ভেঙে পড়া অর্থনীতির শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে একজন চালককে পাম্প থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করার জন্য টানা ১০ দিন ধরেও লাইন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোটামুটি সাধারণ একটি ঘটনা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে এ দৃশ্য অপরিচিত। অবশ্য সাম্প্রতিক জ্বালানি সংকটে এ প্রজন্মের মার্কিনীদেরও কিছুটা লাইনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা নিতে হচ্ছে। কিন্তু এদের অনেকের মা-বাবাকে ১৯৭০-এর দশকে আমেরিকার জ্বালানি সংকটে যে পরিমাণ দুরবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তা অনেকের কাছে দুঃস্বপ্নের মতোই।

যেভাবে শুরু ১৯৭০-এর দশকের জ্বালানি সংকটের

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় বার আরব দেশগুলো ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ভূমি হারানোর পর ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে মিসর ও সিরিয়া ইসরায়েলকে আক্রমণের মাধ্যমে চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করে।

ইহুদিদের পবিত্র ইয়ম কিপুরের দিন এ যুদ্ধ শুরু হওয়ায় এটি ইয়ম কিপুরের যুদ্ধ বলেও পরিচিত। যুদ্ধ শুরু হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন মিশর ও সিরিয়াকে অস্ত্র সরবারহ করলে, ইসরায়েলকে সহায়তার চেষ্টা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।

এর প্রতিবাদে অর্গানাইজেশন অভ আরব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ তথা ওপেকভুক্ত দেশগুলো নিজেদের পেট্রোলিয়াম উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডে তেল পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এভাবেই শুরু হয় ৭০'র দশকের বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট, যার রেশ সবার প্রথমে প্রত্যক্ষ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যেভাবে ভুগেছিল আমেরিকা

তৎকালীন মার্কিন রাজনীতিবিদেরা ভেবেছিলেন, আরব বিশ্ব পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশাল অংকের রাজস্ব আয় করে, তাই তাদের পক্ষে জ্বালানি রপ্তানি কমিয়ে দেওয়া অসম্ভব।

কিন্তু তাদের ওই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। আরব দেশগুলো আমেরিকার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে দিলো। এতে করে আমেরিকায় তাদের কমে যাওয়া রপ্তানির ক্ষতি অনায়াসে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হলো।

১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছিল। যদিও দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে চিত্র ছিল উল্টো। এর ফলে জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেল দেশটির।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর দেশটিতে জ্বালানি নিয়ে হাহাকার শুরু হলো। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম তিন ডলার থেকে এক লাফে ১২ ডলারে পৌঁছে গেল। সেসময় মার্কিন গাড়ি কোম্পানিগুলো বড় বড় গাড়ি তৈরি করত। এসব গাড়ির জন্য জ্বালানি বেশি খরচ হতো। অন্যদিকে তখন জাপানি গাড়িনির্মাতা কোম্পানিগুলো ছোট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী গাড়ি তৈরি শুরু করেছিল।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছিল ভোক্তা পর্যায়েও। দেশটির ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি নেওয়ার জন্য গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেল। অনেক ফিলিং স্টেশন রেশনিং শুরু করল। কোনোগুলো ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি কেনার পরিমাণ বেঁধে দিলো, আবার কোনো কোনো স্টেশন গাড়ির নাম্বারের শেষ ডিজিট অনুযায়ী জ্বালানি সংগ্রহের দিন ঠিক করে দিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানির জন্য মারামারিও শুরু হলো। অনেক স্টেশনের মালিক এজন্য অস্ত্র বহন করা শুরু করলেন। অনেকে সারাদিন বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরেও জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারতেন না। 

বৈশ্বিক প্রভাব

ইউরোপের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া হলেও বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের দেশগুলোও জ্বালানি সংকটে পড়ল। গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক ইত্যাদি দেশ গাড়ি চালানো, ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবহার, ও বিমান চালনার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা বেঁধে দিয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার দেশের জনগণকে বাড়ির কেবল একটি কক্ষ উষ্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড এস. পেইন্টার তার এক গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করেছেন, ১৯৭০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন জ্বালানি উৎপাদনকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছিল। এর ফলে উচ্চমূল্যের জ্বালানির বাজারে লাভবান হওয়ার দরুন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নিজেদের জড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি লাভ করে সোভিয়েতরা।

যেসব উন্নয়নশীল দেশ তেল উৎপাদন করতে পারত না সেগুলোকে উচ্চমূল্যে বিশ্ববাজার থেকে জ্বালানি কিনতে হয়েছিল। এছাড়া এ দেশগুলোকে খরচ চালানোর জন্য পশ্চিমা ব্যাংকগুলোতে থেকে বড় অঙ্কের অর্থ ধার করতে হয়েছিল।

এ ব্যাংকগুলোও তখন ঋণ দেওয়া ও কম সুদহার প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছিল। অনেক দেশ তাদের ক্ষমতার চেয়ে বেশি অর্থ ধার করেছিল। এর ফলে ১৯৭৯ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র সুদহার বাড়ানোয় ১৯৮০'র দশকে তৃতীয় বিশ্বের ঋণসংকট শুরু হয়েছিল।

পশ্চিমা দেশগুলোতে তেল রপ্তানির পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবা ও ভিয়েতনামেও তেল সরবরাহ করেছিল। এছাড়া দেশটি অর্থনৈতিক সাহায্য হিসেবে আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া, ও দক্ষিণ ইয়েমেনে তেল পাঠিয়েছিল। ১৯৭৬ সাল নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের হার্ড-কারেন্সি আয়ের অর্ধেকের বেশি হয়েছিল তেল রপ্তানি থেকে।

সংকট পরবর্তী প্রভাব

১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে আরব দেশগুলো জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু পুরো দশক জুড়েই জ্বালানির দাম কমার আর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আমেরিকা জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ, রেশনিংয়ের পাশাপাশি রাস্তায় স্পিড লিমিট আরোপ ও ১৯৭৪-'৭৫ সালে দিবালোক সংরক্ষণের নীতি গ্রহণ করে।

জ্বালানির এ বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করার পর পরিবেশবাদ নতুন মাত্রা পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিরায়ত জীবাশ্ম জ্বালানির বাইরে অন্য উৎস নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

১৯৭৪-এ জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও এর পাঁচ বছর পর ১৯৭৯ সালে ইরানের বিপ্লবের ফলে আবারও জ্বালানি বিপর্যয় দেখে আমেরিকা। সেসময় পেনসিলভানিয়ায় গ্যাসের জন্য মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়েছিল।

তেল নিষেধাজ্ঞার আগে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের সময় শত্রু হিসেবে রাশিয়া ও চীনকেই বেশি সমীহ করত। কিন্তু এ ঘটনার পর ব্রিটেন ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ওপর আরও বেশি নজর দিতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও অনেক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প উৎসের সন্ধানে নেমে পড়েছিল তেল সংকটের পর। ব্রিটেন একটা সময় জ্বালানিতে স্বাবলম্বী হয়। ব্রাজিল আখ থেকে তৈরি করা ইথানল গাড়িতে ব্যবহার করতে শুরু করে।

আরেকটি জ্বালানি বিপর্যয়ের মুখে বিশ্ব?

বলা হয়ে থাকে, ১৯৭৩'র তেল বিপর্যয় বিশ্বে নতুন একটি আধুনিক বৈশ্বিক অর্থনীতির সূচনা করেছিল। বিদেশি তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল নতুন একটি জ্বালানি অর্থনীতির। মুদ্রাস্ফীতির ওপর এই অর্থনীতির প্রভাবে শুরু হয়েছিল কেনেসিয়ান অর্থনীতির যুগও।

প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নতুন একটি জ্বালানি বিপর্যয়ের ঝুঁকির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বিশ্বকে। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার তেলের ওপর ১৯৭৩ সালের মতো কোনো কড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে আরও আগেই। যুক্তরাজ্যও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর থেকে নিজেদের নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর। তবে এসবের মাঝে বেড়ে গেছে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম।

বিশ্বব্যাপী সাধারণ ভোক্তারা এখন মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়েছেন, জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে জুঝতে হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে, অনেক দেশ ব্যালেন্স অভ পেমেন্টের চাপে রয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে খুব দ্রুত হারে পুঁজি বাইরে চলে যাচ্ছে।

১৯৭০'র দশকে সংকটে কেবল তেলের সংকট তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমান সংকটে যুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও এমনকি নিউক্লিয়ার জ্বালানি সাইকেলও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাড়তে থাকা ভূরাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিবাদমান পরিস্থিতি আরও তীব্রতর হচ্ছে।

তবে বর্তমান জ্বালানি সংকট রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে শুরু হয়নি। ২০২১ সাল থেকেই এ সংকটের শুরু। চীন কয়লার ঘাটতিতে পড়লে কয়লার দাম বেড়ে যায়। এরপর তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজারও সংকুচিত হয়ে পড়ে। একইসাথে বাড়ে তেলের দামও।

যুদ্ধের কারণে পুতিনের সঙ্গে এখন পশ্চিমাদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপে চুক্তিবদ্ধ জ্বালানির পরিমাণ কমিয়ে সংঘাতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে নতুন কোনো নিউক্লিয়ার চুক্তি প্রায় অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও উঠবে না। ফলে বিশ্ববাজারে ইরানের তেলও প্রবেশ করবে না।

মধ্যপ্রাচ্যের বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোরও এ মুহূর্তে হুট করে বিশাল পরিমাণে তেল উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। এছাড়া বিশ্বের অনেক তেল রপ্তানিকারক দেশ মহামারির পর থেকে বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে পূর্বের মাত্রায় তেল উৎপাদন করতে পারছে না।

মহামারির কারণে চীন 'জিরো কোভিড' নীতি গ্রহণ করেছে। ফলে দেশটির তেলের চাহিদাও কমে গেছে, যা অর্থনৈতিক গতিকে স্থবির করে দিয়েছে। তবে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তোলার পর চীনে তেলের চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে যাবে।

অপরিশোধিত তেলের বাজারে যে সংকট দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি সংকট তৈরি হয়েছে তেল পরিশোধন খাতে। রাশিয়ার রিফাইনারিগুলো আংশিকভাবে কাজ করছে। চীনের রিফাইনারি এখন ৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চালু আছে। করোনা, নতুন নীতিমালা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে বিশ্বব্যাপী দৈনিক ৪০ লাখ ব্যারেল রিফাইনিং ক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেছে।

এসব কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট আরও বেশি খারাপ পরিস্থিতির দিকে মোড় নিতে পারে। বর্তমান হিসেবে, আগামী ছয় মাস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়ই প্রমাণ হয়ে যাবে ইউরোপ শীতকাল ভালোয় ভালোয় কাটিয়ে দিতে পারবে কিনা। চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য আধুনিক অর্থনীতি যেসব শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, সেসব শিল্প ও বৈশ্বিক সরকারগুলোর মাঝে এখন এক ধরনের তথ্যভিত্তিক সহযোগিতার প্রয়োজন।


  • তথ্যসূত্র: স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, হিস্টোরি, দ্য গার্ডিয়ান, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, ও মার্কেট ওয়াচ

Related Topics

টপ নিউজ

জ্বালানি সংকট / ১৯৭০ দশকের জ্বালানি সংকট / তেল নিষেধাজ্ঞা / পেট্রোলিয়াম / বৈশ্বিক জ্বালানি বিপর্যয়

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ফাইল ছবি
    কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক
  • ইলাস্ট্রেশন: পিটার শ্র্যাংক
    ইউরোপ যেভাবে উদ্ভাবনের পথ আটকে দেয়
  • ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি: সংগৃহীত
    ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
  • ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
    সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা
  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    সংবাদমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ‘মব ভায়োলেন্স’ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সরকারের
  • প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    দেশের শীর্ষ দুই গণমাধ্যমের ওপর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল: প্রধান উপদেষ্টা

Related News

  • নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও যেভাবে রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত
  • যুক্তরাষ্ট্র-ভারত 'তেলযুদ্ধে' জড়ালে চীনের লাভ যেভাবে
  • ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনার অভিযোগে ৬ ভারতীয় কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
  • খরচ বাড়ার মাঝে টিকে থাকার পথ খুঁজে বের করছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো
  • ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণে তেলের দাম বাড়ছে

Most Read

1
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ

কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক

2
ইলাস্ট্রেশন: পিটার শ্র্যাংক
আন্তর্জাতিক

ইউরোপ যেভাবে উদ্ভাবনের পথ আটকে দেয়

3
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

4
ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

5
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সংবাদমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ‘মব ভায়োলেন্স’ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সরকারের

6
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

দেশের শীর্ষ দুই গণমাধ্যমের ওপর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল: প্রধান উপদেষ্টা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net