তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে আটক সেই শিক্ষকের মুক্তি চায় বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক এ কে এম শহিদুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। দলটি মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং শুধুমাত্র মতপ্রকাশের কারণে কাউকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক নয়।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ এ কে এম শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
রিজভী বিবৃতিতে বলেন, 'বিএনপি মনে করে একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর এ জন্য বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপি এটাও বিশ্বাস করে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটা মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার, যা ব্যক্তিকে নির্ভয়ে নিজের চিন্তা, মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়।'
গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'সুতরাং বিএনপি মনে করে, নিজের মতপ্রকাশের কারণে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ সঠিক হয়নি। তাই অবিলম্বে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'
শহিদুল ইসলাম রাজধানীর গাবতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছিলেন, শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের সময় শহিদুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে 'চাঁদাবাজ' ও 'সন্ত্রাসী' বলে চিৎকার করছিলেন। বিষয়টি দেখে সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশে হস্তান্তর করেন। পরে তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
