ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছেন দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন আজ শনিবার রাত সাড়ে দশটায় বাসস'কে বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্যার তার পদত্যাগপত্রে সাইন করেছেন। আগামীকাল রাষ্ট্রপতির কাছে সেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।'
এর আগে, শনিবার বিকেলে বিদায়ি অ্যাটর্নি জেনারেলকে সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি পদত্যাগ করছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমি ভোট করব। তাই অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে পদত্যাগপত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মো. আসাদুজ্জামান।
ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
গত ২১ ডিসেম্বর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। পরে গত ২৩ ডিসেম্বর মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির নেতারা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের আগে অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার বারইপাড়া গ্রামের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেন।
১৯৯৫ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন।পরের বছর হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।
২০০৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান সাবেক প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের পিতা প্রখ্যাত আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের জুনিয়র ছিলেন।
