হিংসা-আক্রোশ পরিহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শপথের আহ্বান তারেক রহমানের
হিংসা-বিদ্বেষ ও আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার ও নির্মমতা প্রতিরোধে শপথ নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব 'বড়দিন' উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, 'শুভ বড়দিন সমাগত। বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রত্যেকের সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।'
যীশুখ্রিস্টের মহিমা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'ক্ষমা, করুণা ও মানবপ্রেমের দিশারী মহান যীশুখ্রিস্ট এই দিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই ছিল তার মূল বার্তা। সব ধর্মের মূল কথাই মানুষের সেবা ও কল্যাণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।'
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য তুলে ধরে তারেক রহমান আরও বলেন, 'যীশুখ্রিস্ট মানুষকে ভালোবাসতে, ক্ষমা করতে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।'
রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার ও নির্মমতা প্রতিরোধ করতে আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও জোরদার করতে হবে।'
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, 'বিশ্বব্যাপী মানুষ নানামুখী সংকটে রয়েছে। মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবজীবনে ন্যায়নীতি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।'
সবশেষে তিনি বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
