হাদি হত্যাকাণ্ড: জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ইন্টারপোলে সহায়তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং তারা বিদেশে অবস্থান করলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে সন্দেহভাজন আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারিরও প্রার্থনা জানানো হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন 'সারডা সোসাইটি'র পক্ষে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনার এবং ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি), বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তাকে।
রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, রিট আবেদনে বিভিন্ন বিষয়ে রুল ও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং জড়িতরা বিদেশে অবস্থান করলে, তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল দুই অপরাধী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করলে তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দেশে ফিরিয়ে এনে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং সন্দেহভাজন অন্য আসামিদের দেশত্যাগে কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না— এই মর্মে বিবাদীদের বিরুদ্ধে রুল ও আদেশের প্রার্থনা করা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশাযোগে যাওয়ার সময় শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
সেদিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শরিফ ওসমান হাদি।
