কেরানীগঞ্জের জাবালে নুর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগরে অবস্থিত জাবালে নুর টাওয়ারের (জাবালে নুর সুপার মার্কেট) আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনজুড়ে তৈরি পোশাকের দোকান ও দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনটির নিচ তলায় আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ব্রিদিং টেন্ডার ও ১টি হ্যাজম্যাট টেন্ডারসহ মোট ২০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল ৫টা ৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে ভবনটি থেকে মোট ৪৫ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'জাবালে নুর টাওয়ারটিতে ছোট বড় মোট ৭টি ভবন রয়েছে। এতে আবাসিক বাসা, মার্কেট ও দোকান রয়েছে। পৃথক ৭টি ভবন হলেও এর বেজমেন্ট একই জায়গায়। ভবনের প্রতিটি জায়গায় জুট এবং গার্মেন্টসের সরঞ্জাম দিয়ে বোঝাই করা। প্রতিটি ছোট বড় দোকান সাটার দিয়ে এবং কলাপসিবল গেইট দিয়ে বন্ধ করা। যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের এত সময় লেগেছে।'
ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এই ভবনটিতে ভেন্টিলেশন নেই বললেই চলে। যে কারণে ফায়ার ফাইটাররা ঝুঁকি নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করছে। গার্মেন্টসের সরঞ্জামগুলো পুড়ে কালো ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই আগুন পুরোপুরি নেভাতে অনেক সময় লাগবে। হয়তো আগামীকাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। দোকানের মালামালগুলো বের করা হচ্ছে। সেগুলো বের করা হলে আগুনের সোর্স কমবে।'
তবে আগুন আর ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আগুন লাগার কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। অনেকে অনেক কথা বলছেন। আগুন নির্বাপনের পরে আমরা আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখব। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।'
ভবনটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, 'ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ আগেই বলা হয়েছিল। এটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা। এখানে কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। এটা আর ব্যবহার করা যাবে কি না তা জরিপ করে দেখতে হবে।'
