শওকত মাহমুদ ৫ দিনের রিমান্ডে
সরকার উৎখাতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিনা খন্দকার আন্নার আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর শওকতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ।
তবে এইদিন এই মামলার মূল নথী না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানি জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
এদিকে, শওকতকের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. শফিউজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ূম হোসাইন নয়ন এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন আদালতকে তিনি বলেন, 'আমি অসুস্থ। আমার বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে। আমি জেলখানায় অনেক কষ্টের মধ্যে আছি৷'
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেদিন রাজধানীর মিন্টো রোড এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলার সূত্র ধরেই এবার শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শওকত মাহমুদ দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
