জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ৮ খণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ, রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের মতামত এবং জনমত জরিপের ফলাফলসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ৮ খণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি সবার অবগতির জন্য https://reform.gov.bd ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছাড়াও এর আগে ও পরে গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ৮ খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ ও জুলাই জাতীয় সনদের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এছাড়াও ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ার সময় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর দেওয়া মতামত, তাদের সঙ্গে আলোচনার সারসংক্ষেপ, কমিশনের বিভিন্ন নথিপত্র এবং জনমত জরিপের ফলাফল এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর এবং পরবর্তী সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। প্রথম ধাপে গঠিত ৬টি কমিশনের কাজ শেষের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশন' গঠন করা হয়।
অন্য ৫টি কমিশনের প্রধানদের এই কমিশনের সদস্য করা হয়। তবে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের অপারগতার কারণে ওই দুই কমিশনের দুইজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
ইতিমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে সরকার 'জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ' জারি করেছে।
