সরকারের ৯,০১০ কোটি টাকা ক্ষতি: বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও কমিশনারসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে সরকারের ৯ হাজার ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- বিটিআরসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, প্রাক্তন কমিশনার/চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, প্রাক্তন কমিশনার মো. রেজাউল কাদের এবং প্রাক্তন কমিশনার মো. আমিনুল হাসান।
দুদক জানায়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের অবৈধ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে নির্ধারিত প্রতি মিনিট আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ছিল ০.০৩ মার্কিন ডলার।
কিন্তু অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে এই হার কমিয়ে ০.০১৫ ডলার করে এবং সরকারের রেভিনিউ শেয়ার ৫১.৭৫% থেকে ৪০%- এ নামিয়ে আনেন। একইভাবে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের শেয়ার ১৩.২৫% থেকে বাড়িয়ে ২০% করা হয় এবং এই সুবিধা পরীক্ষামূলক সময় শেষ হওয়ার পরও আরও ২৮ মাস অবৈধভাবে বহাল রাখা হয়।
এর ফলে সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতি দাঁড়ায় ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে রেভিনিউ শেয়ার কম নেওয়ায় ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কম রেটে কল আনয়নে ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বঞ্চিত হওয়া ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি ০১ লাখ টাকা সরকারের ক্ষতি হয়।
এই অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪১৮ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
