দেশে ফিরতে এখনও যোগাযোগ করেননি তারেক, চাইলেই ট্রাভেল পাস ইস্যু: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার জন্য এখনো ট্রাভেল পাস বা ভ্রমণ নথির আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে তিনি চাইলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা ইস্যু করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের ট্রাভেল পাস ইস্যু হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'উনি চাইলেই ইস্যু হবে।' এ সময় তিনি ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, 'আমার জানামতে এখনো চান নাই।'
বিএনপির এই শীর্ষ নেতার কাছে বর্তমানে কোনো পাসপোর্ট আছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, 'এটা বলতে পারব না আমি।'
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
কবে নাগাদ তাকে নেওয়া হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, 'না, এটা তো আমরা কনফার্ম [নিশ্চিত] হবো না। এটা ওনার আত্মীয়স্বজন এবং পার্টির লোকেরা কনফার্ম করবে যে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না। আমাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট [ব্যবস্থা] আছে।'
এর আগে, গত শনিবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান বলেন, গুরুতর অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় চাইলেই তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না, কারণ বিষয়টি তার 'একক নিয়ন্ত্রণাধীন' নয়।
তবে এমন প্রেক্ষাপটে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো আইনগত বাধা নেই।
'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে কোনো রকম আইনগত বাধা আছে বলে আমার জানা নেই। আর যদি কোনো বাধা থেকেও থাকে...অবশ্যই সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। ওনার নিরাপত্তার ব্যাপারেও আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব,' বলেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর লন্ডনে বসবাস করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
