১,১৭৪ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেল ৩ জাহাজ
অবশেষে আজ (১ ডিসেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটনবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলো।
সোমবার সকালে ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটককে নিয়ে কক্সবাজার থেকে মোট তিনটি যাত্রীবাহী জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজগুলো সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে এবং দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টার মধ্যে দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তবে মৌসুমের প্রথম দিনেই বাধ্যতামূলক অনলাইন নিবন্ধন ছাড়াই টিকিট বিক্রির অভিযোগে 'কেয়ারি সিন্দাবাদ' জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকরা দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। তবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটকের সীমা বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসেন ইসলাম বাহাদুর সাংবাদিকদের জানান, "আজ সকালে সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ১৭৪ জন পর্যটক রওনা দিয়েছেন।"
সকাল ৬টা থেকেই পর্যটকরা জাহাজে উঠতে শুরু করেন। এ সময় দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা ঘাটে উপস্থিত ছিলেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য (সিঙ্গেল-ইউজ) প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর পর্যটকদের প্রত্যেককে জাহাজে ওঠার আগে বিনামূল্যে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল বিতরণ করেছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন গঠিত মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, "সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দৈনিক ২ হাজার পর্যটকের সীমা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর বেশি কেউ দ্বীপে যেতে পারবে না।"
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা জানান, "সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পর্যটকদের হাতে অ্যালুমিনিয়ামের বোতল তুলে দেওয়া হয়েছে।"
জাহাজগুলো প্রতিদিন সকাল ৭টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাবে এবং পরদিন বিকাল ৩টায় সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরে আসবে। এই সেবা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্বীপসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা বলে ঘোষণা করে।
