মায়ের পাশে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকলেও দেশে ফেরা ‘একক সিদ্ধান্তের’ ওপর নির্ভর করছে না: তারেক রহমান
গুরুতর অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় চাইলেই দেশে ফেরা তার 'একক সিদ্ধান্তের' ওপর নির্ভর করছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি মায়ের শারীরিক অবস্থা এবং নিজের দেশে ফেরার বিষয়ে এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বলেন, 'এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।'
বিষয়টিকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।'
চিকিৎসা সহায়তা ও সহমর্মিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, 'মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার সর্বতো সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।'
এছাড়া দেশ-বিদেশের চিকিৎসক দল সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরেন।
জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, 'সর্বজন শ্রদ্ধেয়া বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের প্রতি দোয়া অব্যাহত রাখার জন্য ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।'
প্রায় ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত রোববার তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
